প্রধান দুই মেয়র প্রার্থী—আওয়ামী লীগের সেলিনা হায়াৎ আইভী ও বিএনপির সাখাওয়াত হোসেন খান উভয়ই মনে করেন, নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল।
ভোটারদের উপস্থিত কম লক্ষ করে তাঁদের কেন্দ্রে এসে ভোটাধিকার প্রয়োগের আহ্বান জানান আইভী।
সাখাওয়াত বলেন, মানুষ ভীত হয়ে বা কারও প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে ভোটকেন্দ্রে আসছেন না বলে মনে করছেন তিনি।
নির্বাচন নিয়ে আইভী ও সাখাওয়াতের ছোটখাটো কিছু অভিযোগ ছিল। কিন্তু গুরুতর অনিয়মের কোনো অভিযোগ তাঁদের তুলতে দেখা যায়নি।
নির্বাচন চলাকালে তেমন কোনো অপ্রীতিকর বা সহিংস ঘটনার খবর মেলেনি।
বেলা পৌনে ১১টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কবির রিজভী বলেন, নানা ধরনের অনিশ্চয়তা ও শঙ্কা থাকলেও তখন পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ ও সন্তোষজনক ছিল।
দুপুরের দিকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে, উৎসবমুখর হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকেও বলা হয়, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ হয়েছে।
দলীয়ভাবে ও দলীয় প্রতীকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনেই প্রথম ভোট হলো। এর আগে সব সিটি করপোরেশনে দলনিরপেক্ষ ভোট হয়েছে।
দলীয় প্রতীকে হওয়া নির্বাচনগুলো নিয়ে একের পর এক অভিযোগ ওঠার মধ্যেই নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। গত ২৪ নভেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো অভিযোগ ওঠেনি। প্রার্থীদের মধ্যে একে অপরকে আক্রমণ করে বক্তব্য দেওয়ার ঘটনাও ছিল কম।
দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে মোট ২০১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। মেয়র পদে লড়াই করেন সাতজন। যদিও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রার্থী কামাল প্রধান ও কল্যাণ পার্টির রাশেদ ফেরদৌস বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খানকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে যান। অন্য তিন প্রার্থী হলেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মাহবুবুর রহমান ইসমাইল (কোদাল), ইসলামী আন্দোলনের মাসুম বিল্লাহ (হাতপাখা) ও ইসলামী ঐক্যজোটের এজহারুল হক (মিনার)। ২৭ ওয়ার্ডে ২৭টি কাউন্সিলর পদে প্রার্থী ১৫৬ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরের ৯টি পদে ৩৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে প্রথম ভোট হয় ২০১১ সালের ৩০ অক্টোবর। নির্দলীয় ওই নির্বাচনে সেলিনা হায়াৎ আইভী ১ লাখ ৮০ হাজার ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ-সমর্থিত ও বর্তমান সাংসদ শামীম ওসমান পেয়েছিলেন ৭৮ হাজার ভোট। বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী ভোটের সাত ঘণ্টা আগে সরে দাঁড়ান।