বিবিসি বাংলা; বাংলাদেশে শেখ হাসিনার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের কোন্ ব্যক্তি আওয়ামী লীগের হাল ধরতে পারেন, এমন আলোচনা কখনো কখনো রাজনৈতিক মহলে শোনা যায়।
যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ঘোষণা কখনোই হয়নি, কিন্তু অনেকেই মনে করেন শেখ হাসিনার বড় ছেলে সজীব ওয়াজেদ, যিনি প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তি উপদেষ্টা হিসেবেও কাজ করেন, তিনি ভবিষ্যতে দলের হাল ধরতে পারেন।
আবার বরাবরই রাজনীতির বাইরে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে শেখ রেহানার কথাও কারো কারো আলোচনায় আসে। কিন্তু এ নিয়ে ওই পরিবারের কোন সদস্যের মনোভাব কখনো জানা যায়নি।
কিন্তু এবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট জামাতা এবং শেখ রেহানার স্বামী ড. শফিক আহমেদ সিদ্দিকী, যিনি নিজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক, তিনি বললেন, শেখ রেহানা যদিও রাজনীতিতে আসতে অনিচ্ছুক, কিন্তু প্রয়োজন ও সময় হলে তিনি রাজনীতিতে আসতে পারেন।
ড. সিদ্দিকী মনে করেন সজীব ওয়াজেদ জয় রাজনীতিতে এলে ভালো করবেন। কিন্তু তিনি রাজনীতিতে আসবেন কিনা সেটি জয়ের সিদ্ধান্ত বলে মনে করেন মি. সিদ্দিকী।
তবে রাজনৈতিক দলকে সরকারের কাছ থেকে আলাদা রাখার গুরুত্ব উল্লেখ করে ড. সিদ্দিকী আরো বলেন, ‘জয়’ (সজীব ওয়াজেদ) সরকারে ভালো করবেন, রেহানা পার্টিতে ভালো করবেন।’
বেসরকারি টেলিভিশন বাংলাভিশনের এক টকশোতে হাজির হয়ে তিনি এসব কথা বলেন, যদিও এগুলোকে একান্তই ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বাংলাভিশনের ‘নিউজ অ্যান্ড ভিউজ্থ’ নামের সংবাদ পর্যালোচনামূলক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন।
অনুষ্ঠানটি রোববার মধ্যরাতের পর সরাসরি সমপ্রচারিত হয়।
অনুষ্ঠানে এ পর্বের আলোচনার বিষয় ছিল নির্বাচন কমিশন গঠন, কিন্তু উপস্থাপক হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ ড. সিদ্দিকীকে জিজ্ঞেস করেন, রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা (শেখ রেহানা) কিংবা এই পরিবারের অন্য কারো অন্তর্ভুক্তির বিষয়কে তিনি কীভাবে দেখছেন।
ড. সিদ্দিকী জবাবে সজীব ওয়াজেদকে মডার্ন এবং ডিজিটাল যুগের ছেলে হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘আমার মতে জয় খুব খারাপ করবেন না পলিটিক্সে, স্পেশালি সরকার চালানোর ব্যাপারে।’
ড. সিদ্দিকী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে যারা রাজনীতি করেছেন তাদের নিয়ে সরাসরি রাজনীতিতে হাসিনা আপা প্রথমদিকে কিন্তু একটু ডিফিকাল্টি ফেস করছিলেন। তার পরে হাসিনা আপা নিজের টিম গঠন করেছেন। …শেখ হাসিনা যেমন চাচাদের ছেড়ে নিজেদের লোক বেছে নিয়েছেন, জয়ের সময়েও দেখবেন মামাদের …কিছুসংখ্যক বিদায় করে দিয়ে নতুন লোকজন চিন্তা করতে হবে।’
এই পরিস্থিতিতে শেখ রেহানা একটি ভারসাম্যের কাজ করতে পারেন বলে আলোচনায় বলেন ড. শফিক আহমেদ সিদ্দিকী। ‘সবচেয়ে সুন্দর হবে জয় যদি সরকারে থাকেন, রেহানা যদি পার্টিতে থাকেন।’
‘রেহানা বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে রাজনীতি মোটামুটি ভালো বোঝেন, পার্টি পলিটিক্স ভালো বোঝেন। যদিও রেহানাকে আমি দেখেছি সবচেয়ে নন-পলিটিক্যাল লোক। কিন্তু পলিটিক্স সে ভালো বোঝে। আসতে চায় না। কিন্তু সময় হলে বাধ্য হবে আসতে। যদি সময় হয়।’
‘যেমন হাসিনা আপার তো (শেখ হাসিনা) রাজনীতিতে অত ইন্টারেস্ট ছিল না। প্রথমদিকে ছাত্রাবস্থায় ছিল, কিন্তু পরে পুরো সংসার ধর্ম করেছেন। কিন্তু প্রয়োজনের খাতিরে হাসিনা আপা সুন্দর চালাচ্ছেন তো।’
সজীব ওয়াজেদ ও শেখ রেহানাকে একটি সুন্দর ‘কম্বিনেশন’ বলেও বর্ণনা করেন ড. সিদ্দিকী।
‘জয় সরকার চালাবেন, রেহানা পার্টি চালাবেন, আমার মনে হয় এই কম্বিনেশনটা ভালো হবে। যদি প্রয়োজন হয়।’
‘রেহানা তো রাজনীতিতে আসতে চায় না। সে রিলাকটান্ট (অনিচ্ছুক) প্লেয়ার। ইতিহাসে দেখা গেছে রিলাকটান্ট প্লেয়াররাই ভালো করে।’
মি. সিদ্দিকী বলেন, পলিটিক্সে কী হবে না হবে সেটা সময় বলে দেবে। তবে তিনি উল্লেখ করেন শেখ রেহানার ‘রাজনৈতিক ভিশন ভালো।’ তিনি রাজনীতিতে এলে খারাপ করবেন না বলে মনে করেন ড. সিদ্দিকী।
‘আমার ব্যক্তিগত ধারণা হলো জয় সরকারে ভালো করবেন, রেহানা পার্টিতে ভালো করবেন। আমি ফিল (অনুভব) করি সরকার সবসময় দল থেকে আলাদা থাকা উচিত’, বলেন শেখ রেহানার স্বামী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শফিক আহমেদ সিদ্দিকী।
তবে ড. সিদ্দিকী স্মরণ করিয়ে দেন, যাতে তার বিশ্লেষণের উপর ভিত্তি করে সংবাদ মাধ্যমে আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব সম্পর্কে যাতে কোনো অনুমান না করা হয়।
আবার বরাবরই রাজনীতির বাইরে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে শেখ রেহানার কথাও কারো কারো আলোচনায় আসে। কিন্তু এ নিয়ে ওই পরিবারের কোন সদস্যের মনোভাব কখনো জানা যায়নি।
কিন্তু এবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট জামাতা এবং শেখ রেহানার স্বামী ড. শফিক আহমেদ সিদ্দিকী, যিনি নিজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক, তিনি বললেন, শেখ রেহানা যদিও রাজনীতিতে আসতে অনিচ্ছুক, কিন্তু প্রয়োজন ও সময় হলে তিনি রাজনীতিতে আসতে পারেন।
ড. সিদ্দিকী মনে করেন সজীব ওয়াজেদ জয় রাজনীতিতে এলে ভালো করবেন। কিন্তু তিনি রাজনীতিতে আসবেন কিনা সেটি জয়ের সিদ্ধান্ত বলে মনে করেন মি. সিদ্দিকী।
তবে রাজনৈতিক দলকে সরকারের কাছ থেকে আলাদা রাখার গুরুত্ব উল্লেখ করে ড. সিদ্দিকী আরো বলেন, ‘জয়’ (সজীব ওয়াজেদ) সরকারে ভালো করবেন, রেহানা পার্টিতে ভালো করবেন।’
বেসরকারি টেলিভিশন বাংলাভিশনের এক টকশোতে হাজির হয়ে তিনি এসব কথা বলেন, যদিও এগুলোকে একান্তই ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বাংলাভিশনের ‘নিউজ অ্যান্ড ভিউজ্থ’ নামের সংবাদ পর্যালোচনামূলক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন।
অনুষ্ঠানটি রোববার মধ্যরাতের পর সরাসরি সমপ্রচারিত হয়।
অনুষ্ঠানে এ পর্বের আলোচনার বিষয় ছিল নির্বাচন কমিশন গঠন, কিন্তু উপস্থাপক হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ ড. সিদ্দিকীকে জিজ্ঞেস করেন, রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা (শেখ রেহানা) কিংবা এই পরিবারের অন্য কারো অন্তর্ভুক্তির বিষয়কে তিনি কীভাবে দেখছেন।
ড. সিদ্দিকী জবাবে সজীব ওয়াজেদকে মডার্ন এবং ডিজিটাল যুগের ছেলে হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘আমার মতে জয় খুব খারাপ করবেন না পলিটিক্সে, স্পেশালি সরকার চালানোর ব্যাপারে।’
ড. সিদ্দিকী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে যারা রাজনীতি করেছেন তাদের নিয়ে সরাসরি রাজনীতিতে হাসিনা আপা প্রথমদিকে কিন্তু একটু ডিফিকাল্টি ফেস করছিলেন। তার পরে হাসিনা আপা নিজের টিম গঠন করেছেন। …শেখ হাসিনা যেমন চাচাদের ছেড়ে নিজেদের লোক বেছে নিয়েছেন, জয়ের সময়েও দেখবেন মামাদের …কিছুসংখ্যক বিদায় করে দিয়ে নতুন লোকজন চিন্তা করতে হবে।’
এই পরিস্থিতিতে শেখ রেহানা একটি ভারসাম্যের কাজ করতে পারেন বলে আলোচনায় বলেন ড. শফিক আহমেদ সিদ্দিকী। ‘সবচেয়ে সুন্দর হবে জয় যদি সরকারে থাকেন, রেহানা যদি পার্টিতে থাকেন।’
‘রেহানা বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে রাজনীতি মোটামুটি ভালো বোঝেন, পার্টি পলিটিক্স ভালো বোঝেন। যদিও রেহানাকে আমি দেখেছি সবচেয়ে নন-পলিটিক্যাল লোক। কিন্তু পলিটিক্স সে ভালো বোঝে। আসতে চায় না। কিন্তু সময় হলে বাধ্য হবে আসতে। যদি সময় হয়।’
‘যেমন হাসিনা আপার তো (শেখ হাসিনা) রাজনীতিতে অত ইন্টারেস্ট ছিল না। প্রথমদিকে ছাত্রাবস্থায় ছিল, কিন্তু পরে পুরো সংসার ধর্ম করেছেন। কিন্তু প্রয়োজনের খাতিরে হাসিনা আপা সুন্দর চালাচ্ছেন তো।’
সজীব ওয়াজেদ ও শেখ রেহানাকে একটি সুন্দর ‘কম্বিনেশন’ বলেও বর্ণনা করেন ড. সিদ্দিকী।
‘জয় সরকার চালাবেন, রেহানা পার্টি চালাবেন, আমার মনে হয় এই কম্বিনেশনটা ভালো হবে। যদি প্রয়োজন হয়।’
‘রেহানা তো রাজনীতিতে আসতে চায় না। সে রিলাকটান্ট (অনিচ্ছুক) প্লেয়ার। ইতিহাসে দেখা গেছে রিলাকটান্ট প্লেয়াররাই ভালো করে।’
মি. সিদ্দিকী বলেন, পলিটিক্সে কী হবে না হবে সেটা সময় বলে দেবে। তবে তিনি উল্লেখ করেন শেখ রেহানার ‘রাজনৈতিক ভিশন ভালো।’ তিনি রাজনীতিতে এলে খারাপ করবেন না বলে মনে করেন ড. সিদ্দিকী।
‘আমার ব্যক্তিগত ধারণা হলো জয় সরকারে ভালো করবেন, রেহানা পার্টিতে ভালো করবেন। আমি ফিল (অনুভব) করি সরকার সবসময় দল থেকে আলাদা থাকা উচিত’, বলেন শেখ রেহানার স্বামী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শফিক আহমেদ সিদ্দিকী।
তবে ড. সিদ্দিকী স্মরণ করিয়ে দেন, যাতে তার বিশ্লেষণের উপর ভিত্তি করে সংবাদ মাধ্যমে আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব সম্পর্কে যাতে কোনো অনুমান না করা হয়।