সিলেট প্রতিনিধি :: সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ আ.ন.ম. শফিকুল হক বলেছেন, যাদের ত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি তাদের কাছে আমাদেরকে কৃতজ্ঞ থাকতে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে স্মরণ রাখতে হবে।
এজন্য তরুণ প্রজন্মকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে হবে, এ নিয়ে অধ্যয়ন করতে হবে। তবেই মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সংরক্ষিত হবে। বিজয় আমাদের অহংকার। যদি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদেরকে সম্মান না করি, তাহলে জাতি হিসেবে কখনো সম্মান পাব না।
তাই তাদের ত্যাগকে স্মরণীয় করে রাখতে হবে। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সিলেট মোবাইল পাঠাগারের উদ্যোগে আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন আহমেদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান সংবর্ধনা অনুষ্ঠান, বিজয়ের কবিতা পাঠের আসর ও আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।
নগরীর ইলেকট্রিক সাপ্লাই রোডস্থ মেট্টোপলিটন ল’ কলেজ ভবনে গত শনিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক মুহম্মদ বশিরুদ্দিন। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন মদনমোহন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ লে. কর্নেল (অব.) আতাউর রহমান পীর।
আলোচনায় অংশ নেন বিশিষ্ট ক্রীড়া লেখক আলী আশরাফ চৌধুরী খালেদ, গল্পকার সেলিম আউয়াল, কলামিস্ট বেলাল আহমদ চৌধুরী, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির সাবেক সভাপতি আবদুল বাতিন ফয়সল।
সাহিত্যকর্মী তাসলিমা খানম বীথির উপস্থাপনায় লোকমান আহমদের কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া সাহিত্য আসরে কবিতা পাঠ করেন, বিমল কর, মো. আব্দুল হক, সুফিয়া জমির ডেইজী, প্রভাষক শাহ মিজান, ব্যাংকার আহমদ শামসুদ্দিন, আমিনা শহিদ চৌধুরী মান্না, এইচ এম আলমগীর, শাহ সরোয়ার আলী, আবু সুফিয়ান সুফি, আমীর হোসাইনী।
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সংগীত পরিবেশন করেন গীতিকার বাহা উদ্দিন বাহার। অনুষ্ঠানের শুরুতে বীর মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন আহমেদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমানকে বিশেষ সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।