সিলেট প্রতিনিধি : লাক্কাতুরা চা বাগানে নবনির্মিত সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে চা শ্রমিকদের সন্তানদের শতকরা ৫০ ভাগ স্থায়ী কোটা বরদ্দের দাবীতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছে সদর উপজেলার চা-বাগানের সুবিধা বঞ্চিত শিক্ষার্থীগন ও সাতটি চা-বাগনারে শ্রমিকরা।
অবরোধের কারনে প্রায় দুই ঘন্টা সিলেট-বিমান বন্দর সড়কে হাজারো যানবাহন আটকা পরে। দুপুর দেড়টার দিকে জেলা প্রশাসকের আশ্বাসে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
১৭ ডিসেম্বর শনিবার সকাল সাড়ে ১১ টায় সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়াম এলাকার লাক্কাতুরা চা-বাগান সংলগ্ন সিলেট-বিমানবন্দর সড়কে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করে শ্রমিক ও শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে চা শ্রমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি সভাপতি রাজু গোয়ালার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন টুকের বাজার ইউনিয়েনর চেয়ারম্যান আলহাজ শহীদ আহমদ,সহ-সভাপতি জিতেন সবর, সাধারণ সম্পাদক লিটন গোয়ালা, সাংগঠনিক সম্পাদক দীলিপ রঞ্জন কুর্মি, প্রচার সম্পাদক কল্প সাহা সকাল, দিলীপ দাস, মদন মঞ্জু, রথি লাল কালুয়ার, রঞ্জন নায়েক, বিক্রাম মহালয়, বিরবল লোহার, দিলীপ বাউরি।
বক্তারা লাক্কাতুরা চা বাগানে সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপন করায় প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, চা বাগান এলাকায় সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপন করা সময়ের দাবী। চা শ্রমিকরা অতীত থেকেই শিক্ষা থেকে শুরু করে সব কিছুতেই সমাজে অবহেলীত।
চা শ্রমিকরা দৈনিক ৮৫ টাকা মজুরিতে খুবই কষ্টে জীবন-যাপন করে আসছে। এই স্বল্প আয়ে ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ জুগোনো খুবই কষ্টসাধ্য। এই বিষয় বিবেচনা করে গত ১৪ ডিসেম্বর লাক্কাতুরা, মালনীছড়া, হিলুয়াছড়া, কেওয়াছড়া, তারাপুর, দলদলি, আলিবাহার মোট ৭টি চা বাগানের শ্রমিকরা সিলেট জেলা প্রশাসক বরাবর ৫০ শতাংশ কোটা বরাদ্দের দাবীতে স্বারকলিপি প্রদান করে।
তবে এ ব্যপারে জেলা প্রশাসক কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করে ভর্তির আবেদন দেয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর প্রতিবাদে সিলেট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় লাক্কাতুরা চা বাগানে চা শ্রমিকদের সন্তানদের জন্য ৫০ শতাংশ কোটা বরাদ্দের দাবীতে মানববন্ধনের আয়োজন করে চা শ্রমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন কমিটি।
মানববন্ধনে অংশকরেন চা বাগানের শ্রমিক, শিক্ষার্থীরাসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা থেকে বিক্ষোভ এবং একপর্যায়ে সড়ক অবরোধে রুপ নেয়।
সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত সিলেট-বিমানবন্দর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন চা-শ্রমিক ও শিক্ষার্থীরা। সে সময় সিলেট জেলা প্রশাসক জয়নাল আবেদীনের আশ্বাসে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ স্থগিত করে বিক্ষোভকারীরা।
এসময় চা শ্রমিক বাস্তবায়স কমিটির সভাপতি রাজু গোয়ালা আগামী ২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে কোটা বরাদ্দ দেয়া না হলে আরো কঠোর কর্মসূচী দেওয়া হবে বলে জানান।
.