এনপিআর রেডিওকে ওবামা বলেন, যখন কোনো বিদেশি সরকার যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী শুদ্ধতায় প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করে, তখন ব্যবস্থা নেওয়া দরকার বলে সন্দেহাতীতভাবে বিশ্বাস করেন তিনি।
ওবামা বলেন, ‘আমাদের ব্যবস্থা নেওয়া দরকার এবং তা আমরা নেব।’
সময়মতো এই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান ওবামা।
যুক্তরাষ্ট্র কী ব্যবস্থা নেবে, তা স্পষ্ট নয়।
হ্যাকিংয়ে মাধ্যমে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রভাবিত করার অভিযোগ আনা হয়েছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) গোপন এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মাসে অনুষ্ঠিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জয়ী করতে রাশিয়ার নেপথ্য ভূমিকা ছিল।
নির্বাচনের আগে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী ও দলটির নেতাদের ওপর সাইবার হামলায় রাশিয়া জড়িত ছিল বলে গোয়েন্দারা আত্মবিশ্বাসী। শুধু তা-ই নয়, নির্বাচনী প্রচারের সময় হ্যাকিংয়ের ঘটনায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নিজেই জড়িত ছিলেন বলে মনে করেন মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।
নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ বিষয়ে মার্কিন গোয়েন্দাদের গোপন মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন ট্রাম্প। সিআইএর প্রতিবেদনকে ‘হাস্যকর’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি। তাঁর ভাষ্য, এটি বিশ্বাস করেন না তিনি।
মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপের সব ধরনের অভিযোগ রুশ কর্মকর্তারাও অস্বীকার করেছেন।
হ্যাকিংয়ের বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করতে মার্কিন গোয়েন্দাদের নির্দেশ দিয়েছেন ওবামা। আগামী ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব ছাড়ার আগেই ওই তদন্ত প্রতিবেদন চেয়েছেন তিনি।