ঢাকা; মিয়ানমারের রাখাইনে গত অক্টোবরে হামলা চালিয়ে ৯ পুুলিশ হত্যার দায় স্বীকার করেছে হারাকা আল-ইয়াকিন নামের একটি স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী।
দ্য ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের (আইসিজি) বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর দিয়েছে। ‘মিয়ানমারস রোহিঙ্গা ইনসারজেন্সি হেজ লিংকস টু সাউদি, পাকিস্তান: রিপোর্ট’ শীর্ষক রয়টার্সের খবরে বলা হয়- হারাকা আল-ইয়াকিন এক ভিডিও বার্তায় হামলার দায় স্বীকার করেছে। এরপর আইসিজি রাখাইন রাজ্যে এই গ্রুপের চারজনের সঙ্গে এবং মিয়ানমারের বাইরে দু’জনের সঙ্গে কথা বলে। ব্রাসেলস ভিত্তিক দ্য ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ (আইসিজি)’র ভেরিফাইড ওয়েব সাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে হারাকা আল-ইয়াকিন নামের নতুন ওই সশস্ত্র গ্রুপ সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করা হয়। তাদের দীর্ঘ প্রতিবেদনটি ১৫ই ডিসেম্বর ডেটলাইনে প্রকাশ করা হয়। ‘মিয়ানমার: এ নিউ মুসলিম ইনসার্জেন্সি ইন রাখাইন স্টেট’ শীর্ষক আইজিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১২ সালে মিয়ানমারের জাতিগত দাঙ্গার পর হারাকা আল ইয়াকিন নামের গ্রুপটি গড়ে ওঠে। সে সময়ের সহিংসতায় শতাধিক ব্যক্তি নিহত হয়। বাস্তুচ্যুত হয় ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষ, যাদের বেশির ভাগই রোহিঙ্গা। আইসিজির দাবি, হারাকা আল-ইয়াকিন গোপনে রাখাইন রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামে দুই বছরের বেশি সময় ধরে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে। হারাকা নেতা আতা উল্লাহ, যাকে গ্রুপটির নয়টি ভিডিওতে দেখা গেছে তাঁর জন্ম করাচিতে। তিনি বর্তমানে সৌদি আরবের মক্কায় রয়েছেন। তার বাবা একজন অভিবাসী রোহিঙ্গা মুসলিম। আতা উল্লাহ পাকিস্তান বা অন্য কোথাও গিয়ে আধুনিক গেরিলাযুদ্ধের ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ নিয়েছেন বলে জানিয়েছে আইসিজি। হারাকা গ্রুপের জ্যেষ্ঠ ২০ সদস্যের একটি কমিটি দেশের বাইরে থেকে গ্রুপটির কর্মকা- তদারকি করে থাকে। গ্রুপটির সদর দপ্তর মক্কায় বলেও দাবি আইসিজির। ওই দাবির প্রেক্ষিতেই রয়টার্সের রিপোর্টে হামলাকারী হিসেবে সন্দেহভাজন রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সৌদি আরব ও পাকিস্তানের যোগসূত্র রয়েছে বলে জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, ৯ই অক্টোবরের ওই হামলাকে কেন্দ্র করে মিয়ানমারের মুসলিম প্রধান রাখাইন রাজ্যে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। সরকারি হিসাবে এ পর্যন্ত এসব সহিংসতায় অন্তত ৮৬ জন নিহত হন। আর জাতিসংঘের মতে, ২৭ হাজার রোহিঙ্গা গৃহহীন হয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।