বোকা পাগল”
——আমিনুর রহমান জুন্নুন
=একটি বোকা ছেলে পাগলের মত বাজারে বাজের ঘুরত এবং আবর্জনা থেকে খাবার কুরে খেত, সবাই থাকে পাগল বলত। ছেলেটার বোধ শক্তি নরমাল মানুষের মত ছিলনা। ছেলেটার গায়ে আবর্জনার কারণে গন্ধ করত। সবাই থাকে ঘৃণা করে তার কাছ থেকে দূরে সরে যেত। একদিন বোকা ছেলেটা এক দোকানে গিয়ে খাবার চাইল ঐ দোকানের সবাই তার গায়ের গন্ধের কারণে থাকে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করল তারপরও ছেলেটা যাচ্ছেনা, তখন দোকানের মালিক রাগ করে ছেলেটাকে চড় দিল। পাগল ছেলেটা চড় খেয়ে কেঁদে কেঁদে চলে গেল। দোকানের মালিক সারা রাত চিন্তা করল পাগল ছেলেটাকে আমার চড় মারা ঠিক হয়নি। দোকানের মালিক চিন্তা করল প্রভু চাইলে আমাকে ও তার মত পাগল করে দিতে পারেন। আমিও তার মত রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে মানুষের কাছে হাসার পুতুল হতাম, মানুষের কাছ থেকে চেয়ে খাবার খেতাম বা আবর্জনা থেকে খাবার খেতাম। দোকানের মালিক ঐ পাগল ছেলেটার কথা ভেবে ভেবে তার ভিতর পাগল ছেলেটার জন্য সহাভূতি বেড়ে গেল। দোকানের মালিক চিন্তা করল ছেলেটাকে বুঝানোর দরকার এবং থাকে সাহায্য করা প্রয়োজন যাতে সে পরিস্কার হয়ে থাকে। দোকানের মালিক পরের দিন সকালে উঠে পাগল ছেলাটাকে খুঁজতে লাগল। পাগল ছেলেটাকে খুঁজে পাওয়ার পর দোকানের মালিক বলল তুমি আমার সাথে চল। পাগল ছেলেটি ভয়ে বলল আমি আর তোমার দোকানে যাবনা। আমাকে আর মেরনা। দোকানের মালিক বুঝিয়ে পাগল ছেলাটাকে বলল তুমি আমার সাথে চল। তুমি ভালো করে গোসল করবে এবং আজ থেকে তুমি পরিস্কার হয়ে থাকবে। তোমাকে আমি নয়া জামা-কাপড় কিনে দিব। পাগল ছেলেটা খুশিতে দিশেহারা হয়ে বলল সত্যিই কি তুমি আমাকে নয়া কাপড় দিবে? দোকানের মালিক পাগল ছেলেটাকে নিয়ে প্রথম ভালো করে গোসল করিয়ে গায়ের গন্ধ দূর করে,পরে তার চুল-দাড়ি কাটাল এবং নয়া কাপড় দিয়ে বলল আজ থেকে তুমি পরিস্কার হয়ে থেক,তাহলে সবাই তোমাকে কম বেশি খাবার দিবে। তোমার গায়ে গন্ধ না থাকলে কেউ তোমাকে দেখে দূরে সরে যাবেনা। বোকা-পাগল ছেলেটিকে বুঝানোর পর সে বুঝতে পারল। তার গায়ের গন্ধের কারণে সবাই তার কাছ থেকে দূরে যেত। ভাই-বন্ধুরা আমার এই গল্প লেখার করণ হল আমাদের চেয়ে যে মানুষ একটু অন্য রকম আমরা তাদেরকে সাহায্য না করে অনেক সময় হাসির পুতুল মনে করি। তাই আসুন তাদেরকে হাসির পুতুল না বানিয়ে তাদেরকে আমাদের তৌফিক মত সাহায্যের চেষ্টা বা বুঝানোর চেষ্টা করি।