ঝিনাইদহের খবর

Slider কৃষি, পরিবেশ ও প্রকৃতি

tree-pic-jhenaidah-2

 

 

 

 

 

 

 

 
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ মায়ের হাতে বানানো হরেক রকমের পিঠা-পুলি খাওয়ার ধুম। এজন্য একসময় তীব্র শীতের মাঝেও খেজুরের রস সংগ্রহের জন্য ব্যস্ত থাকতেন গাছিরা। গত কয়েক বছরের ব্যবধানে ক্রমবর্ধমান মানুষের বাড়ি-ঘর নির্মাণ আর নির্বিচারে গাছ কাটার ফলে ক্রমেই খেজুর গাছের সংখ্যা কমে গেছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঝিনাইদহ সহ পাশ্ববর্তি জেলা গুলোতে।

গত কয়েক বছর পূর্বেও শীতকালে এসব এলাকার গাছিরা খেজুর গাছের রস সংগ্রহে খুবই ব্যস্ত সময় কাটাতেন। তারা খেজুরের রস ও পাটালী গুড় বিক্রি করে বিপুল অংকের টাকা আয় করতেন। কিন্তু কালের বিবর্তনে গত দু’তিন বছর ধরে তা ক্রমশ বিলুপ্ত হতে বসেছে। খেজুর রস দিয়ে শীত মৌসুমে পিঠা ও পায়েস তৈরির প্রচলন থাকলেও শীতকালীন খেজুর গাছের রস এখন দুষপ্রাপ্য হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় ও খেজুর গাছি সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঝিনাইদহ সহ পাশ্ববর্তি জেলা গুলোতে কিছু কিছু এলাকায় এখনও পর্যাপ্ত পরিমান খেজুর গাছ থাকলেও সঠিকভাবে তা পরিচর্যা না করা, নতুন করে গাছের চারা রোপণ না করা এবং গাছ কাটার পদ্ধতিগত ভুলের কারণে প্রতি বছর অসংখ্য খেজুর গাছ মারা যাচ্ছে। এছাড়া এক শ্রেণীর অসাধু ইটভাটার ব্যবসায়ীরা জ্বালানি হিসেবে খেজুর গাছ ব্যবহার করার কারণে ক্রমেই কমে যাচ্ছে খেজুর গাছের সংখ্যা।

প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও শীত পড়ার শুরুতেই উপজেলার সর্বত্র পেশাদার খেজুর গাছির চরম সংকট পড়ে। তার পরেও কয়েকটি এলাকায় শখের বশত গাছিরা নামেমাত্র খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহের কাজ করছেন। ইতোমধ্যে ওইসব গাছিরা সকাল-বিকেল দুই বেলা রস সংগ্রহ করছেন। প্রভাতের শিশির ভেজা ঘাস আর ঘণ কুয়াশার চাঁদর, হেমন্তের শেষে শীতের আগমনের বার্তা জানিয়ে দিচ্ছে আমাদের। এসময় মৌসুমী খেজুর রস দিয়েই গ্রামীণ জনপদে শুরু হতো শীতের আমেজ।

শীত যতো বাড়তে থাকতো খেঁজুর রসের মিষ্টতাও ততো বাড়তো। শীতের সাথে রয়েছে খেঁজুর রসের এক অপূর্ব যোগাযোগ। এ সময় গৌরব আর ঐতিহ্যের প্রতীক মধুবৃক্ষ থেকে সু-মধুর রস বের করে গ্রামের ঘরে ঘরে পুরোদমে শুরু হতো পিঠা, পায়েস ও গুড় পাটালী তৈরীর ধুম। গ্রামে গ্রামে খেজুরের রস দিয়ে তৈরি করা নলের গুড়, ঝোলা গুড়, দানা গুড় ও বাটালী গুড়ের মিষ্টি গন্ধেই যেন অর্ধভোজন হয়ে যেতো। খেজুর রসের পায়েস, রসে ভেজা পিঠাসহ বিভিন্ন সুস্বাদু খাবারেরতো জুড়িই ছিলোনা।

কিন্তু কালের বির্ততনে প্রকৃতি থেকে আজ খেজুরের রস একেবারেই হারিয়ে যেতে বসেছে। সূত্রমতে, প্রাচীণ বাংলার ঐতিহ্য খেজুর গাছ আর গুড়ের জন্য একসময় এ অঞ্চল বিখ্যাত ছিলো। অনেকে শখের বশে খেজুর গাছকে মধুবৃক্ষ বলে থাকতেন। ওইসময় শীতের মৌসুমে খেজুর রসের নলেন গুড়ের মৌ মৌ গন্ধে ভরে উঠতো গ্রামীণ জনপদ।

খেজুর রস দিয়ে গৃহবধূদের সুস্বাদু পায়েস, বিভিন্ন ধরনের রসে ভেজানো পিঠা তৈরির ধুম পড়তো। রসনা তৃপ্তিতে খেজুরের নলেন গুড়ের পাটালির কোন জুড়ি ছিলোনা। গ্রামীণ জনপদের সাধারণ মানুষ শীতের সকালে ঘুম থেকে উঠে কাঁপতে কাঁপতে ঠান্ডা খেজুর রস না খেলে যেন দিনটাই মাটি হয়ে যেতো। কিন্তু ইট ভাটার আগ্রাসনের কারনে আগের তুলনায় খেজুর গাছের সংখ্যা ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে।

ইটভাটায় খেজুর গাছ পোড়ানো আইনত নিষিদ্ধ হওয়ার পরেও ইটভাটার মালিকেরা সবকিছু ম্যানেজ করে ধ্বংস করে চলেছে খেঁজুর গাছ। গত কয়েক বছর ধরে ইট ভাটার জ্বালানি হিসেবে খেজুর গাছকে ব্যবহার করায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে দ্রুত খেজুর গাছ ফুরিয়ে যেতে শুরু করেছে। ফলে এ জনপদের মানুষ এখন খেজুর রসের মজার মজার খাবার অনেকটাই হারাতে বসছে।

শখের বসত প্রাকৃতিক ভাবে জন্মানো খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহকারী গাছিরা বলেন, আগের মতো খেজুর গাছ না থাকায় এখন আর সেই রমরমা অবস্থা নেই। ফলে শীতকাল আসলেই অযতেœ-অবহেলায় পড়ে থাকা গ্রামীণ জনপদের খেজুর গাছের কদর বেড়ে যায়। বর্তমানে এসব অঞ্চলে প্রতি হাড়ি খেজুর রস এক থেকে দেড়’শ টাকা বিক্রি হচ্ছে। তাও চাহিদার তুলনায় খুবই কম। তারা আরো বলেন, খেজুর গাছ রক্ষায় বন বিভাগের কার্যকরী কোন পদক্ষেপ না থাকায় ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে খেজুর গাছ আর শীতের মৌসুমে খেজুর গাছের রস শুধু আরব্য উপনাস্যের গল্পে পরিনত হতে চলেছে।

ঐতিহ্যবাহী এ খেঁজুর রসের উৎপাদন বাড়াতে হলে টিকিয়ে রাখতে হবে খেজুর গাছের অস্তিত্ব। আর সে জন্য যথাযথ ভাবে পরিবেশ আইন প্রয়োগের মাধ্যমে ইটভাটাসহ যেকোন বৃক্ষ নিধনকারীদের হাত থেকে খেঁজুর গাছ রক্ষা করতে হবে। তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে কৃষি বিভাগ থেকেও কৃষকদের খেজুর গাছ লাগানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বাড়ির আনাচে-কানাচে, রাস্তার পার্শের পরিত্যক্তস্থানে কৃষকেরা পর্যাপ্ত পরিমান খেজুর গাছ রোপন করলে ভবিষ্যত প্রজন্মকে খেজুরের রস ও গুড়ের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। শীতকাল মানে হাড়কাঁপুনে ঠান্ডা।

আর মায়ের হাতে বানানো হরেক রকমের পিঠা-পুলি খাওয়ার ধুম। এজন্য একসময় তীব্র শীতের মাঝেও খেজুরের রস সংগ্রহের জন্য ব্যস্ত থাকতেন গাছিরা। গত কয়েক বছরের ব্যবধানে ক্রমবর্ধমান মানুষের বাড়ি-ঘর নির্মাণ আর নির্বিচারে গাছ কাটার ফলে ক্রমেই খেজুর গাছের সংখ্যা কমে গেছে ঝিনাইদহের পাশ্ববর্তী উপজেলা গুলোতে। গত কয়েক বছর পূর্বেও শীতকালে এসব এলাকার গাছিরা খেজুর গাছের রস সংগ্রহে খুবই ব্যস্ত সময় কাটাতেন।

তারা খেজুরের রস ও পাটালী গুড় বিক্রি করে বিপুল অংকের টাকা আয় করতেন। কিন্তু কালের বিবর্তনে গত দু’তিন বছর ধরে তা ক্রমশ বিলুপ্ত হতে বসেছে। খেজুর রস দিয়ে শীত মৌসুমে পিঠা ও পায়েস তৈরির প্রচলন থাকলেও শীতকালীন খেজুর গাছের রস এখন দু¯প্রাপ্য হয়ে পড়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কিছু কিছু এলাকায় এখনও পর্যাপ্ত পরিমান খেজুর গাছ থাকলেও সঠিকভাবে তা পরিচর্যা না করা, নতুন করে গাছের চারা রোপণ না করা এবং গাছ কাটার পদ্ধতিগত ভুলের কারণে প্রতি বছর অসংখ্য খেজুর গাছ মারা যাচ্ছে।

এছাড়া এক শ্রেণীর অসাধু ইটভাটার ব্যবসায়ীরা জ্বালানি হিসেবে খেজুর গাছ ব্যবহার করার কারণে ক্রমেই কমে যাচ্ছে খেজুর গাছের সংখ্যা। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও শীত পড়ার শুরুতেই উপজেলার সর্বত্র পেশাদার খেজুর গাছির চরম সংকট পরে। তার পরেও কয়েকটি এলাকায় শখের বশত গাছিরা নামেমাত্র খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহের কাজ করছেন। ইতোমধ্যে ওইসব গাছিরা সকাল-বিকেল দুই বেলা রস সংগ্রহ করছেন। প্রভাতের শিশির ভেজা ঘাস আর ঘণ কুয়াশার চাঁদর, হেমন্তের শেষে শীতের আগমনের বার্তা জানিয়ে দিচ্ছে আমাদের।

এ সময় মৌসুমী খেজুর রস দিয়েই গ্রামীণ জনপদে শুরু হতো শীতের আমেজ। শীত যতো বাড়তে থাকতো খেঁজুর রসের মিষ্টতাও ততো বাড়তো। শীতের সাথে রয়েছে খেঁজুর রসের এক অপূর্ব যোগাযোগ। এসময় গৌরব আর ঐতিহ্যের প্রতীক মধুবৃক্ষ থেকে সু-মধুর রস বের করে গ্রামের ঘরে ঘরে পুরোদমে শুরু হতো পিঠা, পায়েস ও গুড় পাটালী তৈরীর ধুম।

গ্রামে গ্রামে খেজুরের রস দিয়ে তৈরি করা নলের গুড়, ঝোলা গুড়, দানা গুড় ও বাটালী গুড়ের মিষ্টি গন্ধেই যেন অর্ধভোজন হয়ে যেতো। খেজুর রসের পায়েস, রসে ভেজা পিঠাসহ বিভিন্ন সুস্বাদু খাবারেরতো জুড়িই ছিলোনা। কিন্তু কালের বির্ততনে প্রকৃতি থেকে আজ খেজুরের রস একেবারেই হারিয়ে যেতে বসেছে। ঝিনাইদহবাসীদের সূত্রমতে, প্রাচীণ বাংলার ঐতিহ্য খেজুর গাছ আর গুড়ের জন্য একসময় এ অঞ্চল বিখ্যাত ছিলো।

অনেকে শখের বশে খেজুর গাছকে মধুবৃক্ষ বলে থাকতেন। ওইসময় শীতের মৌসুমে খেজুর রসের নলেন গুড়ের মৌ মৌ গন্ধে ভরে উঠতো গ্রামীণ জনপদ। খেজুর রস দিয়ে গৃহবধূদের সুস্বাদু পায়েস, বিভিন্ন ধরনের রসে ভেজানো পিঠা তৈরির ধুম পড়তো। রসনা তৃপ্তিতে খেজুরের নলেন গুড়ের পাটালির কোন জুড়ি ছিলোনা। গ্রামীণ জনপদের সাধারণ মানুষ শীতের সকালে ঘুম থেকে উঠে কাঁপতে কাঁপতে ঠান্ডা খেজুর রস না খেলে যেন দিনটাই মাটি হয়ে যেতো। কিন্তু ইট ভাটার আগ্রাসনের কারনে আগের তুলনায় খেজুর গাছের সংখ্যা ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে।

ইটভাটায় খেজুর গাছ পোড়ানো আইনত নিষিদ্ধ হওয়ার পরেও ইটভাটার মালিকেরা সবকিছু ম্যানেজ করে ধ্বংস করে চলেছে খেঁজুর গাছ। গত কয়েক বছর ধরে ইট ভাটার জ্বালানি হিসেবে খেজুর গাছকে ব্যবহার করায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে দ্রুত খেজুর গাছ ফুরিয়ে যেতে শুরু করেছে। ফলে এ জনপদের মানুষ এখন খেজুর রসের মজার মজার খাবার অনেকটাই হারাতে বসছে।

শখের বসত প্রাকৃতিক ভাবে জন্মানো খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহকারী গাছিরা বলেন, আগের মতো খেজুর গাছ না থাকায় এখন আর সেই রমরমা অবস্থা নেই। ফলে শীতকাল আসলেই -অবহেলায় পড়ে থাকা গ্রামীণ জনপদের খেজুর গাছের কদর বেড়ে যায়।

বর্তমানে এসব অঞ্চলে প্রতি হাড়ি খেজুর রস এক থেকে দেড়’শ টাকা বিক্রি হচ্ছে। তাও চাহিদার তুলনায় খুবই কম। তারা আরো বলেন, খেজুর গাছ রক্ষায় বন বিভাগের কার্যকরী কোন পদক্ষেপ না থাকায় ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে খেজুর গাছ আর শীতের মৌসুমে খেজুর গাছের রস শুধু আরব্য উপনাস্যের গল্পে পরিনত হতে চলেছে। ঐতিহ্যবাহী এ খেঁজুর রসের উৎপাদন বাড়াতে হলে টিকিয়ে রাখতে হবে খেজুর গাছের অস্তিত্ব।

আর সে জন্য যথাযথ ভাবে পরিবেশ আইন প্রয়োগের মাধ্যমে ইটভাটাসহ যেকোন বৃক্ষ নিধনকারীদের হাত থেকে খেঁজুর গাছ রক্ষা করতে হবে। তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে কৃষি বিভাগ থেকেও কৃষকদের খেজুর গাছ লাগানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বাড়ির আনাচে-কানাচে, রাস্তার পার্শ্বের পরিত্যক্ত স্থানে কৃষকেরা পর্যাপ্ত পরিমান খেজুর গাছ রোপন করলে ভবিষ্যত প্রজন্মকে খেজুরের রস ও গুড়ের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে।

ঝিনাইদহে ওষধি বাগান এবার কবর স্থানে !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
কবর স্থান পরিস্কার রাখতে ও নিয়মিত আসা যাওয়া করতে ঝিনাইদহ ভুটিয়ারগাতি এলাকার এক মহান ব্যাক্তি গড়ে তুলেছেন ওষধি বাগান। পথ চলতে ঘন জঙ্গল চোখে পড়লেই ধরে নেওয়া হয় জায়গাটি কবরস্থান। কেউ মারা গেলে সেখানে দাফনের জন্য যাওয়া হয়, বাকি সময়ে জায়গাটির খোঁজ কেউ রাখে না। শিয়াল-কুকুরের আস্তানায় পরিনত হয় এই সকল জায়গাগুলি।

অনেকে এগুলোর হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রাচীর দিয়ে ঘিরে রাখেন। কিন্তু জঙ্গল জঙ্গলই রয়ে যায়। আর কবর স্থান কবর স্থানই থাকে। নওশের আলীর সহযোগিতায় মাজেদুর রহমান তাদের পারিবারিক কবরস্থানের পবিত্রতা রক্ষা করেই ঘন জঙ্গল পরিষ্কারের মাধ্যমে সেখানে গড়ে তুলেছেন এক ঔষধি গাছের বাগান। যেখানে নিয়মিত পরিচর্জার কারনে মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। অনেকে ঔষধি গাছের লতা-পাতা নিতে এই বাগানে আসছেন। বিভিন্ন গাছের ফুলের গন্ধে পাশ^বর্তী এলাকা মুগ্ধ হয়ে আছে। আর এই বাগান এলাকাবাসিকেও অনুপ্রানিত করেছে। আরো একটি বাগান গড়ে উঠছে তাদের গ্রামেই।

ঝিনাইদহ পৌর এলাকার ভুটিয়ারগাতি গ্রামের জোয়ারর্দার আনোয়ার হোসেন ওরফে মিনি মিয়ার দুই সন্তান। ছোট ছেলে জোয়ারর্দার মতিয়ার রহমান ওরফে মতি মিয়া ইতোমধ্যে মারা গেছেন। বড় ছেলে নওশের আলী থাকেন ঢাকায়। মৃত মতিয়ার রহমানের এক ছোট ছেলে মাজেদুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে বড় ছেলে নওশের আলী গড়ে তুলেছেন এই ঔষধি গাছের বাগান। মাজেদুর রহমান ব্েলন, তাদের ৩৩ শতক জমির উপর রয়েছে পারিবারিক কবরস্থান। যেখানে তার দাদা-দাদীর কবর রয়েছে।

এরপর তার বাবা মারা গেলে তাকেও এখানে দাফন করা হয়েছে। তিনি বলেন, তার বাবা মারা গেছে প্রায় ৮ বছর। তিনি সে সময়ে দেশের বাইরে ছিলেন। ৩ বছর হলো তিনি দেশে এসে বাবার কবর দেখতে গিয়ে চোখে পড়ে জঙ্গল আর জঙ্গল। অবস্থা এতোটাই খারাপ ছিল তাদের বাবার কবরটি খুজে পাওয়া মুশকিল।এই অবস্থা দেখে তার মাথায় আসে জায়গাটি পরিষ্কার এবং ব্যবহার করতে হবে। তিনি জানান, চাচা নওশের আলী আগেথেকেই ঔষধি গাছ নিয়ে কাজ করেন। গাজিপুরে তার একটি বাগানও রয়েছে। এরপর চাচা আর তিনি মিলে নিজ গ্রামের কবর স্থানে গড়ে তুলেছেন ঔষধি গাছের বাগান।

মাজেদুর রহমান আরো বলেন, শুরুতে কবর স্থানের পবিত্রতা রক্ষা রাখার জন্য সেখানে কিভাবে এই বাগান করা যায় সেই চিন্তা মাথায় নেন। এরপর জায়গাটি পরিষ্কার করার কাজে হাত দেন। শুরু করেন বিভিন্ন ঔষধি গাছের চারা রোপন। যেখানেই কোনো ঔষধি গাছ পেয়েছেন সেখান থেকেই কিনে এনে তার বাগানে রোপন করেছেন। এক বছর বেড়া দিয়ে জায়গাটি ঘিরে রাখার পর ইটের প্রাচীর নির্মান করেছেন। কবর স্থানের জমিটিও ট্রাষ্টি করে দিয়েছেন। তিনি নিজেই প্রতিনিয়ত এই বাগানের পরিচর্জা করেন। গাছে পানি দেওয়া, আগাছা পরিষ্কার সবকিছুই নিজেই করেন।

বর্তমানে অশ^গন্ধা, দশমূল, অশোক, ইসেরমূল, লাল চন্দন, সাদা চন্দন, দুধরাজ, মনিরাজ, কাঞ্চনফুল, বিষকরবী, রিটা, গুয়েবাবলা, হরিতকি, আমলকি, বহেরা, চুইঝাল, কুঁজ, মহা সমুদ্র কোস্তরী আদাসহ শতাধিক ঔষধি গাছ রয়েছে। বাগানে সারিবদ্ধ গাছের ফাঁকে রয়েছে ৫টি কবর। জায়গা রাখা আছে আরো কবরের। গাছের পরিচর্জা করতে গিয়ে নিয়মিত কবরটিও পরিচর্জা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, এলাকার মানুষ তাদের প্রয়োজনমত মতো লতা-পাতা ও গাছেরছাল নিয়ে যান। প্রাচীরের গেটের চাবি পাশের এক বাড়িতে রাখা থাকে। যেকোনো মানুষ এখানে এসে তালা খুলে তাদের প্রয়োজন মেটাতে পারছেন। ভুটিয়ারগাতি গ্রামের মামুনুর রহমান বলেন, জোয়ারদারদের এই উদ্যোগ তাদেরকে অনুপ্রানিত করেছে। এটা দেখে তাদের খুব ভালো লেগেছে। তাই তারাও উদ্যোগ নিয়েছেন তাদের পারিবারিক কবরস্থানে ঔষধি গাছের বাগান করবেন। ইতোমধ্যে ৮৬ শতক জমি প্রাচীর দিয়েছেন। গাছ লাগানো শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *