প্রায় সাড়ে তিন মিনিটের ওই ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, পুলিশ সদস্যরা দলবল নিয়ে চিনিকলের জমিতে তোলা সাঁওতালদের ঘরের দিকে যাচ্ছেন। ফাঁকা গুলি চালাতে দেখা যায় তাঁদের। সাঁওতালদের ঘরের কাছে পৌঁছে তিনজন পুলিশ সদস্য একটি ঘরে লাথি মারেন এবং ঘরের বেড়া টেনে ভাঙচুর করেন। পরে এক পুলিশ সদস্য আগুন লাগিয়ে দেন। অন্যরা ঘরের খড়ে আগুন বিস্তারে সহায়তা করেন। দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে। ভিডিওতে পুলিশের সঙ্গে সাদাপোশাকের পুলিশও দেখা যায়।
ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, সাদাপোশাকের একজন গিয়ে ওই ঘরের আগুন নিয়ে অন্য ঘরে লাগানোর জন্য এগিয়ে যাচ্ছেন। এরপর মুহূর্তের মধ্যে অন্যান্য ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ঘরের সামনে কিছু পুলিশ সদস্য হাঁটাহাঁটি করছেন। কিছু পুলিশ সদস্য গুলি ছুড়ছেন। অনেক ঘর আগুনে পুড়ে যাচ্ছে। আগুন দেখে সেখানে থাকা গরু-ছাগল ছোটাছুটি করছে। কোনো পুলিশ সদস্যকে আগুন নেভাতে দেখা যায়নি ওই ভিডিওচিত্রে। দুদিক থেকে পুলিশকে ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলতে দেখা যায়। ভিডিওচিত্রে একটি বাড়ির চুলার পাশে রাখা রান্নার জন্য হাঁড়িপাতিল পুড়ে যেতে দেখা যায়।
সাঁওতালদের ঘরে পুলিশের আগুন দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে গতকাল সন্ধ্যায় গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি সুব্রত সরকার বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে পুলিশ আগুন দেয়নি।’
গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ভিডিওচিত্রটি এত দিন দেখলাম না কোথাও? এটা কারও বানানো কি না, কোনো মেকানিজম কি না বুঝতেছি না। ভিডিওচিত্রটি প্রশ্নবিদ্ধ। তবে পুলিশ ঘরে আগুন দেয়নি। কে বা কারা দিতে পারে।’
ভিডিওচিত্র প্রসঙ্গে সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ইক্ষু খামার জমি উদ্ধার সংহতি কমিটির সহসভাপতি ফিলিমন বাস্কে বলেন, ‘ওই ভিডিওচিত্রে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে পুলিশ, স্থানীয় সাংসদ ও ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজন আমাদের ঘরে আগুন দিচ্ছেন। ঘটনাটি অস্বীকার করার সুযোগ নেই।