মুসলমান সম্প্রদায় দিনটি যথাযথ মর্যাদায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) হিসেবে পালন করে। দিনটিকে অশেষ পুণ্যময় মনে করা হয়। এ উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটি।
আইয়ামে জাহেলিয়াতের অন্ধকার দূর করে তৌহিদের মহান বাণী নিয়ে এসেছিলেন এই মহামানব। প্রচার করেছেন শান্তির ধর্ম ইসলাম। তাঁর আবির্ভাব এবং ইসলামের শান্তির ললিত বাণীর প্রচার সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করে।
ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপির চেয়ারপারসন পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তাঁর বাণীতে বলেছেন, ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর শিক্ষা মানবজাতির জন্য অনুসরণীয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আজকের অশান্ত ও দ্বন্দ্ব-সংঘাতমুখর বিশ্বে প্রিয় নবী (সা.)-এর অনুপম শিক্ষার অনুসরণের মাধ্যমেই বিশ্বের শান্তি ও কল্যাণ নিশ্চিত হতে পারে।’
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, সমাজে বিদ্যমান শত অনাচার ও কদর্য-গ্লানি উপেক্ষা করে মহানবী (সা.) মানুষের মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি মানবজাতির জন্য উজ্জ্বল অনুসরণীয় আদর্শ।
কর্মসূচি: যথাযথ মর্যাদায় দিনটি উদ্যাপনের জন্য সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করবে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মহানবী (সা.)-এর ওপর আলোচনা, সমাবেশ, ধর্মীয় শোভাযাত্রা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক এ উপলক্ষে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ও রেডিও বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে।