মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, বাল্যবিবাহ নিরোধ নতুন আইন হয়েছে। তবে এ বিষয়টিকে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
আজ রোববার দুপুরে মানিকগঞ্জে প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে সনদ এবং দুস্থ নারীদের মধ্যে সেলাই মেশিন ও ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। জেলা পরিষদ মিলনায়তনে যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জেলা প্রশাসন, জেলা মহিলা অধিদপ্তর, জেলা নারী উন্নয়ন ফোরাম ও জেলা জাতীয় মহিলা সংস্থা।
মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, ১৮ বছরের আগে কোনো মেয়ে বিয়ে নয়। তবে সমাজে কোনো মেয়ের ক্ষেত্রে অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটে থাকলে কিংবা ঘটনার শিকার হলে, তাকে সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব সরকার ও রাষ্ট্রের। এ কারণে কোনো বিশেষ প্রেক্ষাপটে অপ্রাপ্তবয়স্ক কোনো মেয়ের সর্বোত্তম স্বার্থে আদালতের নির্দেশনায় এবং মা-বাবার সম্মতিক্রমে বিধি দ্বারা নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বিয়ে হলে তা এই আইনের অধীন অপরাধ বলে গণ্য হবে না। তিনি বলেন, ‘আইনের ধারার ভুল ব্যাখ্যা নয়, ১৮ বছরের আগে বিয়ে নয়।’
জেলা প্রশাসক রাশিদা ফেরদৌসের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহিন আহমেদ চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম, জেলাভিত্তিক নারীদের প্রযুক্তিবিষয়ক প্রশিক্ষণের প্রকল্প পরিচালক ফয়সাল শাহ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সুলতানুল আজম খান এবং মানিকগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি সুদেব সাহা প্রমুখ।
মেহের আফরোজ বলেন, শিক্ষাগ্রহণ ও দক্ষতা অর্জন ছাড়া নারীদের উন্নয়ন কল্পনা করা যায়। শিক্ষার পাশাপাশি দক্ষতা না থাকলে শতচেষ্টা করেও সমাজে সম্মানজনক অবস্থানে পৌঁছানো অসম্ভব। বাংলাদেশ আজকে নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ। বর্তমানে এখানকার জিডিপির হার ৭ ভাগের ওপরে রয়েছে। মাথাপিছু আয়ও বেড়েছে। এসব অর্জনের মূলে নারীদের অবদান অনেক বেশি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পেশিশক্তিতে নারীরা পুরুষের চেয়ে পিছিয়ে থাকলেও মেধাশক্তিতে নারীরা পিছিয়ে নেই। নারীদেরই বেছে নিতে হবে, তাঁদের কোন পথে এগিয়ে যেতে হবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাসহ নারীদের ক্ষমতায়নে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
আলোচনা সভা শেষে নারী উন্নয়ন ফোরামের উদ্যোগে ১০০ জন নারীর প্রত্যেককে একটি করে মোট ১০০টি সেলাই মেশিন, মহিলা সংস্থা থেকে মাত্র ৫ ভাগ সুদে ৪৫ জন নারীর হাতে ৫ লাখ ৬৫ হাজার নগদ অর্থ তুলে দেন প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ। এ ছাড়া প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ প্রকল্পের আওতায় ৯০ জন নারীকে সনদ বিতরণ করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পেশিশক্তিতে নারীরা পুরুষের চেয়ে পিছিয়ে থাকলেও মেধাশক্তিতে নারীরা পিছিয়ে নেই। নারীদেরই বেছে নিতে হবে, তাঁদের কোন পথে এগিয়ে যেতে হবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাসহ নারীদের ক্ষমতায়নে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
আলোচনা সভা শেষে নারী উন্নয়ন ফোরামের উদ্যোগে ১০০ জন নারীর প্রত্যেককে একটি করে মোট ১০০টি সেলাই মেশিন, মহিলা সংস্থা থেকে মাত্র ৫ ভাগ সুদে ৪৫ জন নারীর হাতে ৫ লাখ ৬৫ হাজার নগদ অর্থ তুলে দেন প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ। এ ছাড়া প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ প্রকল্পের আওতায় ৯০ জন নারীকে সনদ বিতরণ করা হয়।