চরমপত্র
——-মৌসুমী টিকলি
চরম বোকামো করেছিল সেদিন
পাকিস্তানি সামরিকজান্তারা,
ভেবেছিল ড্রাকুলার মতো মরণকামড় দিয়ে
শুষে নেবে সমস্ত রক্ত
এই বীর বাংগালীর;
তারা বোঝেনি কতটা শক্তি আর সাহস ধারণ করে
এদেশের দামাল ছেলেরা, কি ভেবেছিল ওরা?
এই কাদামাটির দেশে কিভাবে জ্বলবে প্রতিরোধের আগুন?
কিন্ত এই কাদামাটির তৈরী মানুষেরা
যে ক্ষোভের আগুনে পুড়ে পুড়ে তৈরী হয়েছে
এক একটি পোড়ামাটির ভাস্কর্য
সে খবর রাখেনি তারা
ভাবতেই পারেনি এত তাড়াতাড়ি পেয়ে যাবে তারা এই চরমপত্র :
-“কি পোলারে বাঘে খাইলো?
শ্যাষ আইজ থাইক্যা বঙ্গাল মূলুকে
মছুয়াগো রাজত্ব শ্যাষ।
ঠাস কইরা একটা আওয়াজ হইলো?
ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে পিঁয়াজী সাহেবে চিত্তর হইয়া পইড়া গেছিলো।
“* সম্মুখসমরে এই সব অকুতোভয় মুক্তিসেনারা
জীবন উৎসর্গ করে এনে দিয়েছে
স্বাধীন বাংলার এই লাল সবুজ পতাকা।
এই লাল সূর্য্যের প্রতিটি কণা
এক একটি শহীদের রক্তবিন্দু,
এই সবুজে মিশে আছে অগুনিত মা বোনের কান্না।
এই পতাকার মর্যাদা যেন আমরা ধরে রাখতে পারি
ইতিহাসের এই চরমপত্র আজ আমাদের কাছে।।
৯/১২/২০১৬