ব্রাহ্মণবাড়িয়া; ‘আমরাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া’ নামের ফেসবুকভিত্তিক একটি স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়ে দিনটি উদ্যাপন করেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার শহরের গভ. মডেল গার্লস হাইস্কুলের সীমানাপ্রাচীরের দেয়ালে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন চিত্রসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃতী সন্তানদের ছবি এঁকে বিজ্ঞাপনমুক্ত করেছে সংগঠনটি। সকাল ৮টা ৮ মিনিটে জেলার আট কৃতী সন্তান ‘রঙিন হবে আমাদের স্কুল’ নামের ব্যানারে বিদ্যালয়ের দেয়ালে ছবি আঁকার উদ্বোধন করেন। শুরুতেই জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক রেজুওয়ানুর রহমান। সকাল ৮টা ৮ মিনিটে জেলার আটজন বিশিষ্ট ব্যক্তি গভ. মডেল গার্লস হাইস্কুলের দেয়ালে আঁকা ছবির ফলক উদ্বোধন করেন। এরপর তাঁরা দেয়ালে আঁকা চিত্রকর্ম পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে অতিথিরা শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসাইন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃতী সন্তানদের মধ্যে ছিলেন চলচ্চিত্র পরিচালক মোরশেদুল ইসলাম, অভিনেতা ইরেশ যাকের, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক আশরাফুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র নায়ার কবির, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকটিভিস্ট সোলায়মান সুখন, মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান মিয়া, প্রবীণ আলোকচিত্রী প্রাণতোষ পাল, গভ. মডেল গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক নাঈমা জান্নাত। সমাবেশে চলচ্চিত্র পরিচালক মোরশেদুল ইসলাম উপস্থিত শিক্ষার্থী ও দর্শকদের উদ্দেশ করে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন করতে হবে। স্বপ্ন দেখতে হবে। স্বপ্ন যত বড় হবে, তুমিও তত বড় হবে। দেয়ালে আঁকা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে স্কুল ও কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের মনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগ্রত আছে। আয়োজক সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু নাট্যমের সদস্যরা বিদ্যালয়ের সীমানাপ্রাচীরে ৫৬টির বেশি ব্লকে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ, সাত বীরশ্রেষ্ঠ, উপমহাদেশের প্রখ্যাত সুরসম্রাট ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃতী সন্তান ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ, ভাষাসৈনিক শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের ছবি আঁকেন। এই কাজে সার্বিক সহযোগিতা করেছে জেলা পুলিশ। অনুষ্ঠানে সংগঠনের পক্ষ থেকে শিশু নাট্যমের চিত্রশিল্পীদের সম্মাননা স্মারক ও উপহার দেওয়া হয়।