রেনজির পদত্যাগ: ইতালিতে গঠিত হচ্ছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার

Slider টপ নিউজ সারাদেশ

43817_rezni_resigns

 

ঢাকা;  রাজনৈতিক টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যেই পদত্যাগ করলেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী ম্যাথিও রেনজি। ফলে ইতালি মারাত্মক এক সঙ্কটের মুখে। এ অবস্থায় সরকার চালানোর জন্য সেখানে গঠিত হচ্ছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। প্রেসিডেন্ট সার্জিও মাতারেলা আজ স্থানীয় সময় বিকাল ৬টায় সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা শুরু করবেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন নিয়ে হবে সেই আলোচনা। আগামী শনিবার স্থানীয় সময় বিকালে শেষ হওয়ার কথা ওই আলোচনা বা পরামর্শ। তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত ‘তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ম্যাথিও রেনজি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়েছে তিনদিন আগে সংবিধান সংশোধন নিয়ে গণভোটে হেরে যান রেনজি। বিভিন্ন মহল থেকে রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে পদত্যাগ বিলম্বিত করার আহ্বান জানানো হয়েছিল রেনজিকে। কিন্তু তিনি তাতে কর্ণপাত করেন নি। প্রেসিডেন্টের কাছে জমা দিয়েছেন পদত্যাগপত্র। এখন পরিস্থিতি কিভাবে সামাল দেয়া হবে তা নিয়ে বড় মাথাব্যাথা শুরু হয়েছে প্রেসিডেন্ট মাতারেলার। তার এক মুখপাত্র উগো জামপেত্তি বুধবার সাংবাদিকদের বলেছেন, এখন প্রেসিডেন্ট সব রাজনৈতিক দলকে আলোচনায় ডেকেছেন। তাদের পরামর্শ নিয়ে একটি নতুন সরকার গঠন করা হবে। তবে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের মতে, ম্যাথিও রেনজির রাজনৈতিক দল ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে নির্বাচিত তারই মন্ত্রীপরিষদের একজন সদস্যকে নতুন সরকার গঠনের জন্য আহ্বান জানাতে পারেন প্রেসিডেন্ট মাতারেলা। ইতালিতে আগামী নির্বাচন হওয়ার কথা ২০১৮ সালে। কিন্তু কিছু মানুষ সেই নির্বাচন এগিয়ে এনে আগাম নির্বাচন দেয়ার কথা বলছে। উল্লেখ্য, গত রোববার সংবিধান সংশোধনের ওপর গণভোট হয় দেশটিতে। তাতে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে শতকরা ৪১ ভাগ। বিপক্ষে পড়ে শতকরা ৫৯ ভাগ ভোট। এর ফলে ম্যাথিও রেনজির পদত্যাগ দ্রুততর হয়। কারণ, তিনি গণভোট দেয়ার সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন হেরে গেলে পদত্যাগ করবেন। ওদিকে ইতালির রাজধানী রোম থেকে বিবিসির সাংবাদিক জেমস রেনল্ডস বলছেন, পদত্যাগ করলেও রাজনীতির সামনের সারিতে এখনও থাকতে চান ম্যাথিও রেনজি। এখনও তার ডেমোক্রেটিক পার্টি পার্লামেন্টে সবচেয়ে বড় দল। সেখানে তিনি এখনও দলীয় নেতা। প্রধানমন্ত্রী পদে কে আসবেন সে নাম প্রস্তাবের বিষয়েও তিনি বড় ভূমিকা রাখবেন বলে মনে করা হয়। প্রেসিডেন্টের বাসভবনে যাওয়ার সময় তিনি তার দলের উদ্দেশে কিছু কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, যদি অন্য রাজনৈতিক দলগুলো সমর্থন করে শুধু তাহলেই ‘জাতীয় দায়িত্ব পালনের সরকারে’ তার দল অংশ নেবে। অন্যথায় আগাম নির্বাচনে তার দল ভীত নয়। রোববারের গণভোটে বড় বিজয় অর্জন করে দেশটিতে নর্দার্ন লীগ ও ফাইভ স্টার মুভমেন্ট। এর মধ্যে নর্দার্ন লীগ ইউরোপ বিরোধী। দ্বিতীয়টি সরকার বিরোধী। এ দুটি মদল আগাম নির্বাচনের জন্য চাপ দিচ্ছে। কিন্তু মধ্য-ডানপন্থি দল ফরজা ইতালিয়ার মতো দলগুলো নির্বাচনকে বিলম্বিত করার দাবি জানাচ্ছে। ফরজা ইতালিয়ার নেতা সিলভিও রেলুসকোনি বেশ অসুস্থ। বুধবার মিলানের একটি হাসপাতালে তার কিছু চেকআপ হয়েছে। ৬ মাস আগে তার হার্টে অপারেশন করা হয়। ফলে নতুন প্রশাসনে এখন পর্যন্ত সম্ভাব্য যেসব নাম পাওয়া যাচ্ছে তার মধ্যে রয়েছেন ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে অর্থমন্ত্রী পিয়ের কারলো পাদোয়ান, সিনেট নেতা পিয়েত্রো গ্রাসো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *