ঝিনাইদহের সংবাদ

Slider খুলনা

ad-abbas-picture
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাথানগাছি গ্রামে আগুনে পুড়ে মুত্তাকিন (৩) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দুপুর ১ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

শিশু মুত্তাকিন উপজেলার বাথানগাছি গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে। স্থানীয়রা জানায়, সকালে মুত্তাকিনের মা চুলায় ধান সিদ্ধ করছিল। এ সময় খেলতে খেলতে চুলার মধ্যে পড়ে মুত্তাকিন দগ্ধ হয়।

পরে প্রতিবেশিরা দ্রুত উদ্ধার করে মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মা চুলায় ধান সিদ্ধ করছিল মুত্তাকিন খেলতে খেলতে চুলার মধ্যে পড়ে যায় ।

ঝিনাইদহে সেই কৃষক হত্যাকান্ডের নেপথ্যে পরকীয়া ॥ স্ত্রীর শাহানাজ পারভীনের আদালতে জবানবন্দি !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নিচপুটিয়া গ্রামের কৃষক মহিদুল ইসলাম হত্যার মুল পরিকল্পনাকারী স্ত্রী শাহানাজ পারভীন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সোমবার বিকেলে ঝিনাইদহের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী আশরাফুজ্জামান এর আদালতে এ জবানবন্দি প্রদাণ করে।

রবিবার সকালে সদর উপজেলা নিচপুটিয়া গ্রামের মাঠ থেকে কৃষক মহিদুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিন বিকেলে নিহতের পিতা আব্দুস সালাম বাদী হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় ৩ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে।

র‌্যাব-৬, সিপিসি-২ ঝিনাইদহ ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর মনির আহম্মেদ জানান, মামলা দায়েরের পর ঝিনাইদহ র‌্যাব-৬ মামলার তদন্ত শুরু করে। স্ত্রীর পরকীয়ার কারণে কৃষক মহিদুল হত্যার বিষয়টি বেরিয়ে এলে র‌্যাব স্ত্রী শাহানাজ পারভীনকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করে।

পরে সোমবার বিকেলে বিচারকের সামনে স্বামী হত্যার দায় স্বীকার করে স্ত্রী শাহানাজ পারভীন।

র‌্যাব-৬ জানায়, ওই গ্রামের কাওসার আলীর ছেলে বকুলের সাথে শাহানাজ পারভীনের দীর্ঘদিন যাবত পরকীয়া চলে আসছিল। এরই জের ধরে শনিবার রাতে কৃষক মহিদুল ইসলামকে হত্যা করা হয়।

ঝিনাইদহে বিভিন্ন মামলার আসামীসহ আটক ৭ !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুর থানা পুলিশ গতকাল সোমবার ভোর রাত থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামীসহ ৭ জনকে আটক করেছে।

মহেশপুর থানার ডিউটি অফিসার এএসআই আব্দুস সাত্তার জানান, সোমবার ভোর রাত থেকে দুপুর পর্যন্ত থানার এস আই খবির হোসেন, এস আই আবুল বাসার, এস আই সামছুল আলম, অভিযান চালিয়ে বলিভদ্রপুর গ্রাম থেকে ৩ বছর ৩ মাসের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী সারজুল ইসলাম (৪৮), শ্যামনগর গ্রামের সন্ত্রাসী আলী আকবার (৫২), সোনাইডাঙ্গা গ্রামের হোসেন আলী (৩৮), বজরাপুর গ্রামের জসিম উদ্দিন(৩৫), গয়েশপুর গ্রামের সাদিকুল ইসলাম (৪২), বকুনদিয়া গ্রামের আরিফুল ইসলাম (২৪) ও মিয়া সুন্দরপুর গ্রামের সেলিম ওরফে মকছেদ আলীকে (৩৫) আটক করেছে। আটক কৃতদেরকে গতকাল সোমবার বিকালে ঝিনাইদহ আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।

মহেশপুর থানা অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম বিল্পব জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে মহেশপুর থানায় একাধিক মামলাসহ গ্রেপ্তারী পরোয়ানা রয়েছে।

ঝিনাইদহে অস্ত্র গুলি উদ্ধার হল এমপি হত্যা চেষ্টা মামলার আসামি থেকে !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহ-৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যা চেষ্টা মামলার আসামি আবু সাঈদের কাছ থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার ভোর রাতে আবু সাঈদের স্বীকারোক্তিতে ও তার দেখিয়ে দেয়া স্থান থেকে পুলিশ একটি বিদেশী পিস্তল, ১ টি ম্যাগজিন ও ২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে।

কালীগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ইমরান আলম জানান, আবু সাঈদকে গ্রেফতারের পর আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে তাকে রিমান্ডে আনার জন্য তিনি আদালতে আবেদন করেন। আদালত সে সময় রিমান্ড মঞ্জুর না করে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।

জেলগেটের জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছ থেকে এমপি আনার হত্যা প্রচেষ্টার চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যায়। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক মালিয়াট ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান খানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি এমপি আনার হত্যা চেষ্টার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেন এবং আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করেন।

আজিজুর রহমান খান ভারতে পালিয়ে যাবার সময় পুলিশ পুটখালী বর্ডার থেকে ২ হাজার ভারতীয় রুপি ও একটি মোবাইল সিমসহ তাকে ২০ নভেম্বর গ্রেফতার করে। পরে তাকে এমপি আনার হত্যা প্রচেষ্টাকারীদের মধ্যে অন্যতম মুল পরিকল্পনাকারী ও সন্ত্রাসীদের অর্থ যোগানদাতা দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
তার দেয়া তথ্য মতে আসামি আবু সাঈদকে রিমান্ডে আনার জন্য পুনরায় আদালতে আবেদন করেন। এর প্রেক্ষিতে গত ৩০ নভেম্বর সাঈদের আইনজীবী রিমান্ডের বিরুদ্ধে রিভিশন করলে আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী আশরাফুজ্জামান তাদের দাবি খারিজ করে রিমান্ড বহাল রাখেন এবং ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে জানান মামলার তদন্তকারী এ পুলিশ কর্মকর্তা।

৪ ডিসেম্বর দুপুরে আসামি আবু সাঈদকে রিমান্ডের জন্য কালীগঞ্জ থানায় আনা হয়। রাতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার দেখিয়ে দেয়া ও স্বীকারোক্তিতে পুলিশ কচাতলা বাজারস্থ সাঈদের নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পিছন থেকে সোমবার ভোর রাতে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করে।

উল্লেখ্য, গত ১ নভেম্বর দিবাগত রাতে ১৫ লাখ টাকার চুক্তিতে ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যা প্রচেষ্টা চালায় ৮ দুর্বৃত্ত। এ ঘটনায় এমপি আনারের পিএস আব্দুর রউফ বাদি হয়ে ২ নভেম্বর কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলায় ৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ৩ জনসহ মোট ৮ জনকে আসামি করা হয়।

মামলায় প্রথমে গ্রেফতার করা হয় নিয়ামতপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদকে। তার স্বীকারোক্তিতে গ্রেফতার করা হয় হরিণাকুন্ডু উপজেলা নির্বাহী অফিসের কর্মচারী (সার্ভেয়ার সহকারী) কওছার আলীকে। তাদের দেয়া জবানবন্দীতে গ্রেফতার করা হয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও আ’লীগ নেতা আজিজুর রহমান খানকে। এরপর পুলিশ গ্রেফতার করে সাবেক আ’লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ওহিদুজ্জামান অদুকে।

৬ই ডিসেম্বর ঝিনাইদহ হানাদার মুক্ত দিবস !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর (রোববার) ঝিনাইদহ হানাদারমুক্ত হয়। আকাশে ওড়ে লাল সবুজের স্বাধীন পতাকা। চালু হয় ঝিনাইদহে অসামরিক প্রশাসন। স্বাধীনতা যুদ্ধে জেলায় প্রথম সম্মুখ যুদ্ধ সংঘটিত হয় ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালীতে।

এছাড়া শৈলকুৃপা থানা আক্রমন, কামান্না, আলফাপুর ও আবাইপুরের যুদ্ধ আজও স্মৃুতিতে অম্লান। ঝিনাইদহ জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার মকবুল হোসেন জানান, ১৯৭১ সালের ১ এপ্রিল যশোর ক্যান্টোনমেন্ট থেকে ভারী অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পাকিস্থানি হানাদার বাহিনী ঝিনাইদহ দখলের উদ্দেশ্যে এগিয়ে আসতে থাকলে বিষয়খালী ব্রীজের এপার থেকে মুক্তিযোদ্ধারা তাদেরকে প্রবাল বাধা দেয়। প্রায় তিন ঘন্টা যুদ্ধের পর তারা পিছু হঠে যায়।

১৬ এপ্রিল হানাদার বাহিনী আবারো বিষয়খালী বেগবতী নদীর তীরে এসে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল বাধার সম্মুখিন হয়। এখানে প্রায় ৬ ঘন্টা তুমুল যুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধে ৩৫ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ব্রীজের পাশেই তাদের গণ কবর দেওয়া হয়। এ থেকেই জেলায় ছড়িয়ে পড়ে মুক্তিযুদ্ধ। বিভিন্ন স্থানে তুমুল যুদ্ধ শুরু হয় মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে। সে সময় উল্লেখযোগ্য যুদ্ধের মধ্যে ছিল বিষয়খালী যুদ্ধ, গাড়াগঞ্জ যুদ্ধ, শৈলকুৃপা থানা আক্রমন, কামান্না, আলফাপুর ও আবাইপুরের যুদ্ধ।

ঝিনাইদহে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সুত্রে জানা গেছে, পহেলা থেকে ষোল এপ্রিল বিষয়খালী যুদ্ধে ৩৫ জন, ১৪ অক্টোবর আবাইপুর যুদ্ধে ৪১ জন, ২৬ নভেম্বর কামান্না যুদ্ধে ২৭ জনসহ স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝিনাইদহ জেলায় ২৭৬ জন মুক্তিযুদ্ধা শহীদ হন। এর মধ্যে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে এই জেলায় দুই জন। তাঁরা হলেন বীর শ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান ও বীর প্রতিক সিরাজুল ইসলাম।

শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের আনেককে বিভিন্ন স্থানে গণকবর দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে আনেকের নাম ঠিকানা আজও মেলেনি। ৬ ডিসেম্বরের আগে ৩ ডিসেম্বর মহেশপুর, ৪ ডিসেম্বর কোটচাঁদপুর, ৫ ডিসেম্বর কালীগঞ্জ এবং সর্বশেষ ১১ ডিসেম্বর শৈলকুপা উপজেলা শত্রমুক্ত হয়। মুক্তিযুদ্ধকালীন ঝিনাইদহ আওয়ামী সেচ্ছাসেবক বাহিনীর জেলা কমান্ডার আমির হোসেন মালিতা জানান, ৫ ডিসেম্বর মধ্যরাতে মিত্র বাহিনী ঝিনাইদহের হলিধানী বাজারে এসে খবরা খবর নিতে আসেন।

তিনি আরো জানান, তারপর তারা ৬ ডিসম্বর ভোরে ঝিনাইদহ শহরে প্রবেশ করেন। মিত্র বাহীনির নেতৃত্বে ছিলেন, কর্ণেল বাহেলে ও লেঃ কর্ণেল পিকে দাস গুপ্ত। ৬ ডিসেম্বর সকাল ৭টায় ঝিনাইদহের ইউনিট কমান্ডার হিসেবে তিনিসহ ইউনিয়ন কমান্ডার রজব আলী, বাকুয়া গ্রামের মরহুম মনিরুল ইসলাম, নারিকেল বাড়িয়ার বুলু মিয়া, গাবলা গ্রামের মকছেদ আলীসহ অনেকে মিত্র বাহিনীকে স্বাগত জানিয়ে দ্রুত ঝিনাইদহে বেসামরিক প্রশাসন চালু করার প্রস্তাব দেন।

আমির মালিতা বলেন, তখনও সারা দেশে শামরিক শাসন চলছে। বাংলাদেশের প্রথম ঝিনাইদহ জেলায় বেসামরিক প্রশাসন চালুর ফলে পাকিমুক্ত হয় ঝিনাইদহ। এদিকে আজ ৬ ডিসম্বর হানাদারমুক্ত দিবস পালন উপলক্ষ্যে ঝিনাইদহ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ব্যাপক কর্মসুচি গ্রহন করেছে। কর্মসুচির মধ্যে রয়েছে সোমবার সকালে ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের বর্নাঢ্য র‌্যালি বের করা হবে। র‌্যালি শেষে ঝিনাইদহ মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। দিবসটি পালনে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামীলীগ, বিএনপি ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসুচি গ্রহন করেছে।

শৈলকুপায় এবার সি এন জি চোরকে গণধোলাই পুলিশে সপর্দ !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের শৈলকুপার শেখপাড়া বাজারে কালাম (৩০) নামে এক যুবককে সি এনজি চুরির অভিযোগে গণধোলাই দিয়েছে স্থানিয় জনতা। পুলিশ খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে তিনি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানির রফিকের ছেলে।

স্থানিয়রা জানান, কালাম সহ ৩ জন কান চুলকানির নামে কৌশলে ইজিবাইকের চাবি নিয়ে চলে যেতে চাইলে, তাকে জাপটে ধরে চিৎকার করলে জনতা এসে গনধোলাই দেয়। বাকি ২ জন গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যাই। শৈলকুপা থানার উপ পরিদর্শক আজাদ জানান, গনধোলায়ের পর তাকে ঘরে আটকে রাখা হয়। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে।

ঝিনাইদহের মুক্তিযোদ্ধার দৃষ্টিতে ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
বঙ্গবন্ধুর ডাকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য পাকিস্তানিদের সঙ্গে যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছি। জীবনকে বাজিরেখে যুদ্ধ করে দেশের মাটিতে স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করি। এই সরকারে আমলে মুক্তিযোদ্ধারা সরকারী ভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে সাথে জুটেছে সম্মানি ভাতা। আওয়ামী লীগ সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন ভাবে সম্মানিত এবং সুবিধা প্রদান করে যাচ্ছে।

তবে অনেক মুক্তিযোদ্ধারা এখনো ন্যূনতম সরকারী স্বীকৃতি টুকু পায়নি। তাদের কাছে এখন সেগুলো শুধুই স্মৃতি। ১৯৭১ সালে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে রনাঙ্গনে যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছে এমনি একজন সফল মুক্তিযোদ্ধা নাম শরিফুল ইসলাম। যার গেজেট নং ৬৪ লাল মুক্তি বার্তা নং ০৪০৯০১০০৯১ ভারতিয় নংএবং কল্যান ট্রাস্ট নং ৪৮৫৭৭ এবং ইবিআরসি নং ১১১৬।

শরিফুল ইসলাম ঝিনাইদহ সদর উপজেলার উত্তর নারায়নপুর গ্রামের ১৯৫৫ সালে জন্ম গ্রহন করেন। তার পিতার নাম মৃত জিয়ারত বিশ্বাস। তিনি ৮নং সেক্টরে সেক্টর কমান্ডার মেজর মুঞ্জুরের অধিনে যুদ্ধ করেছেন। ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসের শেষের দিকে গ্রুপ কমান্ডার মশিউর রহমান এর নেতৃত্বে ঝিনাইদহ শৈলকুপা এবং হরিণাকু-ু প্রায় ১৫/২০জন যুবক ভারতের শিকারপুর ক্যাম্পে ট্রেনিং এর উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

ঔখানে ১০দিন ট্রেনিং করার পর ডোমপুকুর ট্রেনিং ক্যাম্পে ১৫দিন ট্রেনিং করেন। এরপর বিহার চাকুলিয়া ক্যান্টনমেন্টে মেজর ভোলা ( সংক্ষিপ্ত নাম) এর অধিনে ৪১দিন ট্রেনিং শেষ করার পর বাংলাদেশে ফিরে আসার উদ্দেশ্যে ভারতের বনগাঁ ক্যাম্পে ১০দিন অবস্থান করেন। এই ক্যাম্পে মেজর বাজুয়া সিং তাদেরকে পুনরায় ট্রেনিং পরিদর্শন করেন এবং নতুন নতুন কৌশল শিখিয়ে দেন।

এভাবে প্রায় আড়াই মাস পর গ্রুপ কমান্ডারের নেতৃত্বে ঝিনাইদহের ১৫/১৬ জন মুক্তিযোদ্ধা একসাথে বাংলাদেশে ফিরে আসে এবং ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মহামায়া গ্রামে এক হিন্দুদের ফেলে যাওয়া বাড়ীতে অবস্থান করেন। সেখানে স্থানীয় রাজাকার বাহিনীর উপর হামলা চালাই। রাজাকারদের সাথে সস্মুখ যুদ্ধে ৭জন রাজাকার নিহত হয়। গ্রুপ কমান্ডার মশিউর রহমানের নেতৃত্বে এই যুদ্ধ চলে।

যুদ্ধশেষে একই উপজেলার গেড়ামারা গ্রামে এসে বিশ্রাম নিই। দিনশেষে ঐ রাতেই পার্শ্ববর্তী কাতলামারী ঘাট পার হয়ে হরিণাকু-ু উপজেলায় অবস্থান করি। ওখানে ১দিন অবস্থান করার পর শৈলকুপার ত্রিপাকান্দি গ্রামে এসে ক্যাম্প করেন। ক্যাম্পে ৪/৫দিন অবস্থান করার পর একই উপজেলার হাট ফাজিলপুর বাজারের পূর্বপাশে বিলের মধ্যে ক্যাম্প করে ৫দিন অবস্থান করে শৈলকুপা থানা আক্রমন করেন। কিন্তুু খবরটি আগে থেকেই জেনে যাওয়ার কারনে। ঐ আক্রমন তেমন সফল হয়নি।

থানা আক্রমন শেষে তারা স্বদলবলে আবার ওই ক্যাম্পে ফিরে জান। শৈলকুপায় মুক্তিযোদ্ধাদের বড় একটি গ্রুপ রেখে আমরা হরিণাকু-ু উপজেলার দিকে অগ্রসর হয়। শরিফুল আরো জানান, ১০/১১জন মুক্তিযোদ্ধা সাথে স্থানীয় আরও কিছু মুক্তিপাগল জনতা আমাদের সাথে হরিণাকু-ুর রসুনপুর গ্রামে অবস্থান নিই। রসুনপুর গ্রামে মুক্তিযোদ্ধারা অবস্থান করছেন জেনে রাজাকাররা লুটপাট আরম্ভ করে।

এই অবস্থায় তাদের প্রতিরোধ করতে চাইলে পাকিস্থানী খানসেনা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে ভয়াবহ যুদ্ধ হয়। ঐ যুদ্ধে ৮জন পাকসেনা এবং ২জন মুক্তিযোদ্ধা নিহত হয়। একজনের নাম সদর উদ্দীন অন্যজনের নাম এই মূহূর্তে মনে নেই বলে তিনি জানান। ঐ যুদ্ধে অনেকে আহত হন। এর পরে আর বড় কোন যুদ্ধের মুখমুখি হয়নি।

ঝিনাইদহ জেলা বারের নির্বাচনে বিজয়ী এড. আব্বাস উদ্দীনের সাথে মসিউর রহমানের সৌজন্য সাক্ষাত !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহ জেলা বারের নির্বাচনে নির্বাহী সদস্য পদে বিজয়ী হওয়ার পর গতকাল ফুল দিয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি মসিউর রহমানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন বিএনপি নেতা এড আব্বাস উদ্দীন। জেলা বিএনপির কার্যালয়ে এই সৌজন্য সাক্ষাতকার অনুষ্ঠিত হয়।

এড. আব্বাস উদ্দীন বিএনপি সমর্থিত এসএম মসিয়ার-আবু তালেব প্যানেল থেকে বিজয়ী হন। মসিউর রহমানের সাথে সাক্ষাতের সময় জেলা বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক এস এম শাহজামান মোহন, বিএনপি দলিয়ার রহমান মাষ্টার, আনিছুর রহমান রিপন, সাবেক এমপি শহিদুল মাষ্টারের ছেলে মেহেদী হাসান রণি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ঝিনাইদহে নেস্লে নিউট্রিশন ইন্সটিটিউটের ‘হাজার দিনের পথচলা’ !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
শিশু মাতৃগর্ভে আসার প্রথম দিন থেকে পরবর্তী ১০০০ দিন মা ও শিশুর সুস্বাস্থ্য এবং শিশুর ভবিষ্যৎ বিকাশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের নার্সদের মধ্যে এই জ্ঞান বৃদ্ধি ও প্রশিক্ষণের জন্য নেস্লে নিউট্রিশন ইন্সটিটিউট (এন এন আই) দেশজুড়ে ‘হাজার দিনের পথচলা’ শীর্ষক ৬৬ দিনব্যাপী পুষ্টি বিজ্ঞান মেলা আয়োজন করেছে। পুষ্টি বিজ্ঞান মেলা উপলক্ষে এন এন আই-এর একটি বিশেষ বাহন (ক্যারাভান) ৬৪টি জেলা পরিভ্রমণ করবে। এ পুষ্টি বিজ্ঞান মেলায় সারাদেশ থেকে ১০০০০ জন নার্সকে প্রশিক্ষিত করে তোলা হবে।

এ আয়োজনের অংশ হিসেবে ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয়ের মাঠে এ পুষ্টি বিজ্ঞান মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এ মেলায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এডিসি জেনারেল আবদুর রউফ মন্ডল, বিএমএ সেক্রেটারি ডা. দুলাল কুমার চক্রবর্তী এবং ডা. প্রবীর কুমার মন্ডল।

এদিন মেলায় ১৪০ জন নার্স অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠিত এ মেলায় অডিও-ভিডিও প্রদর্শনী, বায়োস্কোপ, পুষ্টি বিষয়ক কুইজসহ নানা কার্যক্রমের মাধ্যমে নার্সদের গর্ভ ও প্রসবকালীন সময়ের প্রস্তুতি, নিরাপদ প্রসব ব্যবস্থাপনা, প্রসবের সময় গোল্ডেন মিনিট ও এর ১০টি প্রধান ধাপ, মাতৃদুগ্ধের উপকারিতা, শিশুকে গরুর দুধ দেয়ার অসুবিধা, কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেটের সমস্যা রোধে ল্যাকটোব্যাসিলাস রিউটারির ভূমিকা এবং সুষম খাদ্যবিন্যাসের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী এবং স্বাচিপের মহাসচিব অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ গত ৮ অক্টোবর ঢাকার শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ‘হাজার দিনের পথচলা’ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *