শ্রীপুর সাহিত্য পরিষদ পদক পেলেন ৭ গুণি শিল্পী

Slider বাধ ভাঙ্গা মত সাহিত্য ও সাংস্কৃতি

15281951_1143180655803366_1879526020_n

 

ঢাকা; গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা অডিটোরিয়াম হল রুমে শনিবার সন্ধায় এক ঝমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে শ্রীপুর সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার-২০১৬ প্রদান করা হয়। এ বছর ছয়টি শাখায় ৭ গুণি শিল্পী এ পুরস্কার পান।

কবিতায় আবিদ আনোয়ার ও পিয়াস মজিদ, শিশুসাহিত্যে ফারুক নওয়াজ, কথাসাহিত্যে অদিতি ফাল্গুনী, গল্পে সাইফুর রহমান, ছড়ায় সোহেল মল্লিক, সাংবাদিকতায় আতাউর রহমানকে এ পুরস্কার দেয়া হয়।

শ্রীপুর সাহিত্য পরিষদের সভাপতি রানা মাসুদের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশ বরেণ্য গীতিকবি মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আমীর হামজা মৃধা, গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল আলম রবিন। সম্মানিত আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক গণমুখ সম্পাদক অধ্যাপক আমজাদ হোসাইন, শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিক প্রিন্সিপাল ইকবাল সিদ্দিকী, কবি,গল্পকার ও সাংবাদিক শাহান সাহাবুদ্দিন, কবি ও গীতিকার নাজমুল কবির প্রমুখ।

শাহান সাহাবুদ্দিন তাঁর আলোচনায় বলেন, শিল্প সাহিত্যের তীর্থস্থান যেমন কুষ্টিয়া, প্যারিস; আমার কাছে গাজীপুরের কুষ্টিয়া প্যারিস শ্রীপুরকেই মনে হয়। গাজীপুরে শিল্প সাহিত্যে নেতৃত্ব দিচ্ছে শ্রীপুর সাহিত্য পরিষদ।

কবি পিয়াস মজিদ তার পুরস্কার প্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় বলেন, রাজনীতিকরা যখন ঘুমান, কবিরা তখন জেগে থেকে দেশ পাহারা দেন। একজন কবি হিসেবে আমি এ পুরস্কার প্রাপ্তিতে আনন্দিত।

কথাশিল্পী অদিতি ফাল্গুনী বলেন, ঢাকার অদূরে শ্রীপুর সাহিত্য পরিষদ আছে তা আমি জানতামনা। এমনকী এটা ও জানতাম না তারা ব্যক্তিগত ভাবে অচেনা লেখকদের লেখা পড়ে পুরষ্কার দেয়। ঢাকায় বড় বড় ব্যঙ্ক ও কর্পোরেট পত্রিকা মিলে ‘বড়’ ‘বড়’ নানা সাহিত্য পুরষ্কার দেয়। হয়তো অমন একটা কয়েক বছর আগে পেয়েছিও। তা’ সেখানে বই জমা দেয়া, শর্ট-লিস্টেড হওয়া, টেনশন- নানা বিষয় আছে। এখানে ভয়ানক নিভৃত, মৃদু এক প্রাপ্তি। মফস্বলের কিছু অচেনা পাঠক আমার লেখা পড়ে আমাকে নির্বাচিত করেছেন- এটার মূল্য রাজধানীর পাঁচতারা হোটেলের পুরষ্কার বিতরণীর আমেজের থেকে একদম আলাদা।

কবি আবিদ আনোয়ার বলেন, শিল্প সাহিত্য নিয়ে কাজ করে সুকুমার রায় সাহিত্য পুরস্কার, বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও কমনওয়েলথ পুরস্কার সহ জীবনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার সহ অনেক পুরস্কার পেয়েছি। কিন্তু তোমরা যেভাবে হৃদয় জমিন বিছিয়ে দিয়েছো তাতে আমি মুগ্ধ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান বলেন, আজকাল কবিতার ক্ষেত্রে যেমন, তেমনি গান রচনায়ও যথাযথ প্রকরণ না জেনেই অনেকে চর্চা শুরু করেন। তাই অজস্্র নবীন রচয়িতার মধ্যে শেষমেশ টিকে থাকেন তারাই যারা স্বভাবজাত প্রতিভা বলেই হোক আর পঠন-পাঠনের সূত্রেই হোক প্রাকরণিক বিশুদ্ধতা আয়ত্ত করতে পারেন।

এ সময় প্রধান অতিথি এ বছরে শ্রীপুর সাহিত্য পরিষদের পুরুস্কার পাওয়া শিল্পীদের হাতে বিশেষ সম্মাননা স্বারক ও ক্রেস্ট তুলে দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *