ঢাকা; প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর জন্য আলাদা বিমান কেনার প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জানিয়েছেন, ভিভিআইপি’র জন্য বিমান কেনার মতো বিলাসিতার সময় বাংলাদেশের হয়নি। তিনি সাধারণ যাত্রীদের বিমানেই নিজেকে নিরাপদবোধ করেন বলেও জানিয়েছেন। বিকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। দেশে মধ্যবর্তী নির্বাচনের সম্ভাবনা আবারও নাকচ করে দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রস্তাবের কড়া সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, যেকোনো প্রস্তাব দেয়ার আগে বিএনপি নেত্রীকে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।
সম্প্রতি হাঙ্গেরিতে অনুষ্ঠিত ‘বুদাপেস্ট ওয়াটার সামিট’, হাঙ্গেরিতে দ্বিপাক্ষিক সফর এবং মরক্কোর জলবায়ু সম্মেলনের বিষয়ে জানানোর জন্যই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। প্রায় ঘন্টাব্যাপী এই সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নেরও জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী। সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, বন ও পরিবেশ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, পানি সম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চে ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বন্দী বীর’ কবিতা থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘জীবন মৃত্যু পায়ের ভৃত্য’, বুঝেছে দুবৃত্ত।’ এটা একটা যান্ত্রিক দূর্যোগ ছিল। তার বেশি কিছু না। এটা নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে, তদন্ত শেষে দেখা যাবে। যাক দূর্ঘটনা ঘটে নি, সহি সালামতে বেঁচে আছি, আপনাদের সামনে আছি। এটুকু শুধুই বলবো, আপনাদের দোয়া চাই। কারণ, যে দেশে হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করা হয়, বিচার না করে; যে দেশে যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী করা হয়, বিচার না করে, সেদেশে কার জীবনের নিরাপত্তা থাকতে পারে। আর আমার তো পুরো পরিবারকে হত্যা করেছে।
দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের নিরাপদ ভ্রমণের জন্য আলাদা নতুন উড়োজাহাজ কেনার পরিকল্পনা ‘বিলাসিতা’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আলাদা বিমান কেনার মতো বিলাসিতা করার সময় আসেনি। নতুন এয়ার ক্রাফট কেনার আমার কোনো প্রয়োজন নাই। আমরা দেশের জন্য নতুন (উড়োজাহাজ) কিনেছি। এসময় বিমানকে আধুনিকায়নের ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় এ সংস্থার উন্নয়নে তার সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপও তুলে ধরেন। তিনি আরও বলেন, দূর্ঘটনা তো হয়ই। ব্রাজিলে কী হলো। ফুটবল প্লেয়ারসহ প্লেন ক্র্যাশ করলো। দূর্ঘটনা দূর্ঘনাটই, এজন্য দূর্ঘটনা। এটাতে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন আছে, নির্বাচনও হচ্ছে। তারা (বিএনপি) আজ নির্বাচনে যাবে, কাল অংশ নেবে না। নির্বাচনে যখন জয়ী হয়েছে তখন বলবে ভালো, আর হারলেই ভালো না। নির্বাচনে অংশ নেবে না, বলবে ভালো না। এরকম রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাছে দেশ কী আশা করতে পারে সে প্রশ্নও রাখেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
এক প্রশ্নেব জবাবে ‘ভারত সফরে আমরা কোনো শর্ত নিয়ে যাচ্ছি না’ মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেহেতু ভারতের সাথে আমাদের ৫৪টি অভিন্ন নদী সংযোগ রয়েছে। তিস্তা নিয়ে আলোচনা চলছে। আমি আশাবাদী, এটা নির্ভর করছে তারা কিভাবে নেবে তার ওপর। আমাদের মতো আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের দুই দেশের নদী গবেষকরাও কাজ করে যাচ্ছেন, তিস্তা শুধু নয়, আমাদের সকল অভিন্ন নদীগুলোর পানিবণ্টন নিয়েও আলোচনা চলছে।
সম্প্রতি হাঙ্গেরিতে অনুষ্ঠিত ‘বুদাপেস্ট ওয়াটার সামিট’, হাঙ্গেরিতে দ্বিপাক্ষিক সফর এবং মরক্কোর জলবায়ু সম্মেলনের বিষয়ে জানানোর জন্যই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। প্রায় ঘন্টাব্যাপী এই সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নেরও জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী। সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, বন ও পরিবেশ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, পানি সম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চে ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বন্দী বীর’ কবিতা থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘জীবন মৃত্যু পায়ের ভৃত্য’, বুঝেছে দুবৃত্ত।’ এটা একটা যান্ত্রিক দূর্যোগ ছিল। তার বেশি কিছু না। এটা নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে, তদন্ত শেষে দেখা যাবে। যাক দূর্ঘটনা ঘটে নি, সহি সালামতে বেঁচে আছি, আপনাদের সামনে আছি। এটুকু শুধুই বলবো, আপনাদের দোয়া চাই। কারণ, যে দেশে হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করা হয়, বিচার না করে; যে দেশে যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী করা হয়, বিচার না করে, সেদেশে কার জীবনের নিরাপত্তা থাকতে পারে। আর আমার তো পুরো পরিবারকে হত্যা করেছে।
দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের নিরাপদ ভ্রমণের জন্য আলাদা নতুন উড়োজাহাজ কেনার পরিকল্পনা ‘বিলাসিতা’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আলাদা বিমান কেনার মতো বিলাসিতা করার সময় আসেনি। নতুন এয়ার ক্রাফট কেনার আমার কোনো প্রয়োজন নাই। আমরা দেশের জন্য নতুন (উড়োজাহাজ) কিনেছি। এসময় বিমানকে আধুনিকায়নের ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় এ সংস্থার উন্নয়নে তার সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপও তুলে ধরেন। তিনি আরও বলেন, দূর্ঘটনা তো হয়ই। ব্রাজিলে কী হলো। ফুটবল প্লেয়ারসহ প্লেন ক্র্যাশ করলো। দূর্ঘটনা দূর্ঘনাটই, এজন্য দূর্ঘটনা। এটাতে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন আছে, নির্বাচনও হচ্ছে। তারা (বিএনপি) আজ নির্বাচনে যাবে, কাল অংশ নেবে না। নির্বাচনে যখন জয়ী হয়েছে তখন বলবে ভালো, আর হারলেই ভালো না। নির্বাচনে অংশ নেবে না, বলবে ভালো না। এরকম রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাছে দেশ কী আশা করতে পারে সে প্রশ্নও রাখেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
এক প্রশ্নেব জবাবে ‘ভারত সফরে আমরা কোনো শর্ত নিয়ে যাচ্ছি না’ মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেহেতু ভারতের সাথে আমাদের ৫৪টি অভিন্ন নদী সংযোগ রয়েছে। তিস্তা নিয়ে আলোচনা চলছে। আমি আশাবাদী, এটা নির্ভর করছে তারা কিভাবে নেবে তার ওপর। আমাদের মতো আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের দুই দেশের নদী গবেষকরাও কাজ করে যাচ্ছেন, তিস্তা শুধু নয়, আমাদের সকল অভিন্ন নদীগুলোর পানিবণ্টন নিয়েও আলোচনা চলছে।