রোহিঙ্গা ইস্যুতে মালয়েশিয়ার কড়া প্রতিক্রিয়া, প্রতিবাদ র‌্যালি কাল, উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী

Slider গ্রাম বাংলা সারাবিশ্ব

43042_rohinga

 

ঢাকা; রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর অকথ্য অত্যাচারের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে মালয়েশিয়া। তারা মিয়ানমারের এসব মুসলিমের ওপর চালানো নির্যাতনকে ‘এথনিক ক্লিনজিং’ বা জাতি নির্মূল করে দেয়া হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। এর প্রতিবাদে মালয়েশিয়ায় রোববার সংহতি র‌্যালি হওয়ার কথা রয়েছে। তাতে উপস্থিত থাকার কথা দেশটির প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে বলা হয়, সম্প্রতি মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো নির্যাতনের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে মালয়েশিয়া। একটি আঞ্চলিক ফুটবল টুর্নামেন্টের অন্যতম আয়োজক মিয়ানমার। এ কারণে মালয়েশিয়া সেই টুর্নামেন্ট থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে। মিয়ানমার শুকবার বলেছে, মালয়েশিয়ার উচিত অন্য দেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করা। আসিয়ানভুক্ত সদস্য দেশগুলোর নীতি হলো কোনো সদস্য দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক না গলানো। এ নীতিটি মালয়েশিয়ার অনুসরণ করা উচিত। মিয়ানমারের এ কথার জবাবে আজ শনিবার রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর চালানো নির্যাতনকে মালয়েশিয়া ‘এথনিক ক্লিনজিং’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতি দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এথনিক ক্লিনজিংয়ের মাধ্যমে বিশেষ করে একটি জাতির বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে। এই চর্চা বন্ধ হতেই হবে। দক্ষিণÑপূর্ব এশিয়ার এ অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার ফিরিয়ে আনতে অবিলম্বে এই নির্যাতন বন্ধ হতেই হবে। উল্লেখ্য, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ মালয়েশিয়া ক্রমাগতভাবে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের সমালোচনা করে আসছে। এতে জড়িত সেদেশের নিরাপত্তা সংস্থার সদস্যরা। এই নির্যাতনের কারণে শত শত মানুষ পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে। ২০১২ সালে একবার সাম্প্রদায়িক হামলা চালানো হয় মুসলিমদের ওপর। তাতে শত শত মানুষকে হত্যা করা হয়। তারপর বর্তমানে যা চলছে তা সবচেয়ে ভয়াবহ রক্তপাত। উল্লেখ্য, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো নির্যাতনের প্রভাব পড়ছে পার্শ্ববর্তী দেশ থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আরও কিছু দেশে। এতে সব দেশই নিরাপত্তা ঝুঁকি অনুভব করছে। এ নিয়ে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, মালয়েশিয়া ও পার্শ্ববর্তী প্রতিবেশী দেশগুলোতে অধিক সংখ্যায় রোহিঙ্গার কারণে এটি এখন আন্তর্জাতিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। তবে মিয়ানমারে প্রেসিডেন্ট অফিসের ডেপুটি ডাইরেক্টর জেনারেল ইউ জাউ হতাই শুক্রবার মিয়ানমার টাইমসকে বলেছেন, মালয়েশিয়ার উচিত (মিয়ানমারের) সার্বভৌমত্বকে সম্মান করা। ওদিকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে গত সপ্তাহে মিয়ানমারে রাষ্ট্রদূতকে তলব করে মালয়েশিয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *