ঢাকা; তিস্তার পানি দেবার সম্ভাবনাকে দুরে রেখেই পশ্চিমবঙ্গ সরকার বাংলাদেশকে আরও বিদ্যুৎ দিতে আগ্রহী। বাংলাদেশের চাহিদা অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গ যে আরও বিদ্যুৎ রফতানি করতে তৈরি, তা জানিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কলকাতায় আয়োজিত ‘ইনফোকম’ সম্মেলনে এই কথা জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দিতে রাজ্যের দুই বিদ্যুৎ সংস্থার কয়েক জন কর্তা শিগগিরই ঢাকা যাচ্ছেন। তাঁরা বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যুৎ উৎপাদন, সংবহন পরিকাঠামো, গ্রামীণ বিদ্যুতায়ন ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবে। পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যুৎমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, অতিরিক্ত বিদ্যুৎ রপ্তানির সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশে যে কোনও ধরনের বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণেও রাজ্য সরকার সাহায্য করতে আগ্রহী। সম্প্রতি একটি বণিকসভার আমন্ত্রণে এক মন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের এক প্রতিনিধিদল কলকাতায় এসেছিলেন। তাঁরাই পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যুৎমন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন ভারত থেকে আরও বিদ্যুৎ চান তাঁরা। মন্ত্রী জানান, এক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রতিদিন ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রপ্তানি হয় বাংলাদেশে। কেন্দ্রীয় সংস্থা পাওয়ার ট্রেডিং কর্পোরেশনের মাধ্যমে ২০১৩ সাল থেকে ওই বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। রাজ্যের বিদ্যুৎ দপ্তর সুত্রে জানা গেছে, রাজ্যের চাহিদা মিটিয়েও পশ্চিমবঙ্গে বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত। তার উপরে মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে নতুন দু’টি ইউনিটে শিগগিরই বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হওয়ার কথা। এ ছাড়া কাটোয়ায় এনটিপিসির ১৩২০ মেগাওয়াটের তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প এবং পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ে এক হাজার মেগাওয়াটের একটি পাম্প স্টোরেজ বিদ্যুৎ প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হতে চলেছে। এই সব প্রকল্প থেকেও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গ্রিডে বিদ্যুৎ বিক্রির পরিকল্পনা করছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বাজার পশ্চিমবঙ্গের কাছে বিশেষ ভাবে গুরুত্ব পাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।