এর আগে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের কার্যালয় বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছিল, দেশটির ৬৩ বছর বয়সী ওই নেতা বিক্ষোভে অংশ নিতে পারেন। তবে ওই বিক্ষোভ কর্মসূচি কোথায় অনুষ্ঠিত হবে, তা প্রকাশ করা হয়নি।
গত ২৯ নভেম্বর মালয়েশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী জাহিদ হামিদির বরাত দিয়ে মালয় মেইল অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ‘রোহিঙ্গাদের ওপর সহিংসতার ঘটনায় উদ্বেগ জানাতে ৪ ডিসেম্বর বড় ধরনের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।’ এর প্রতিক্রিয়ায় মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের উপমহাপরিচালক জ তেয় গতকাল বৃহস্পতিবার মিয়ানমার টাইমসকে বলেন, সার্বভৌম বিষয়ে প্রতিবেশী দেশের সম্মান দেখানো উচিত।
জ তেয় বলেন, ‘আসিয়ানের নীতি অনুযায়ী, এর কোনো সদস্য দেশ অন্য সদস্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাবে না। আমরা সব সময়ই এই নীতিকে সম্মান করি ও মেনে চলি।’ তিনি বলেন, ওই বিক্ষোভ মালয়েশিয়ার জনগণের সমর্থন আদায়ের জন্য একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত এবং এতে মিয়ানমারের তেমন কিছু আসবে–যাবে না। জ তেয় আরও বলেন, ‘ওই বিক্ষোভের বিষয়ে আমরা মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে তলব করব এবং তাঁর কাছে জানতে চাইব দেশটির প্রধানমন্ত্রী সেখানে অংশ নিচ্ছেন কি না। যদি অংশ নেন, তবে আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করব।’
গত ২৫ নভেম্বর মালয়েশিয়ার মন্ত্রিসভা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করে এবং কড়া ভাষায় সেখানে ক্রমবর্ধমান সহিংসতায় ‘নিরীহ লোকদের প্রাণহানি ও বাস্তুচ্যুত’ হওয়ার ঘটনার নিন্দা জানায়। এ ছাড়া দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে মিয়ানমার সরকারকে সহিংসতা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানায়।
গত সপ্তাহে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে মিয়ানমারের দূতাবাসের সামনে প্রায় ৫০০ লোক জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। ওই সময় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছিল মালয়েশিয়া সরকার।
এ ছাড়া রাখাইন রাজ্যের সহিংসতার কথা উল্লেখ করে ৯ ও ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় মিয়ানমারের সঙ্গে দুটি ফুটবল ম্যাচ চলতি সপ্তাহে হঠাৎ করে বাতিল করে মালয়েশিয়া।