ঢাকা; ঐতিহাসিক এক সফরে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিকর এখন বাংলাদেশে। গতকাল দুপুরে তিনি ঢাকায় এসে পৌঁছান। তার সঙ্গে আছেন ১১ সদস্যের উচ্চপর্যায়ের এক প্রতিনিধি দল। ভারতীয় বিশেষ বিমানে চড়ে তারা কুর্মিটোলায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ঘাঁটি বঙ্গবন্ধুতে পৌঁছান। এ সময় সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান তাদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। সেখানে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলাও উপস্থিত ছিলেন। এদিকে গতকাল প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদের সঙ্গে বঙ্গভবনে বৈঠক করেন ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী। প্রেসিডেন্টের প্রেস সচিব জয়নাল আবেদিন মানবজমিনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)-এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিনিধি দলটিতে থাকা ভারতীয় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর উপ-প্রধানরা যথাক্রমে বাংলাদেশের সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে তারা পারস্পরিক কুশলাদি বিনিময় ছাড়াও দুই দেশের বাহিনীগুলোর মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্ক ও সহযোগিতা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। ভারতীয় এই প্রতিনিধি দলটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সফররত ভারতীয় প্রতিনিধি দলের সম্মানে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাবাহিনী মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে এক নৈশভোজ ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। উচ্চপর্যায়ের ভারতীয় এই প্রতিনিধি দল দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে আজ নিজ দেশে ফিরবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর আগে প্রতিনিধি দলটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন।
বিমানবাহিনী প্রধানের সঙ্গে ভারতীয় বিমানবাহিনীর ভাইস চিফের সাক্ষাৎ
এদিকে ভারতীয় বিমানবাহিনীর ভাইস চিফ এয়ার মার্শাল বিরেন্দর সিং ধানোয়া গতকাল বাংলাদেশ বিমানবাহিনী সদর দপ্তরে বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আবু এসরার-এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। আইএসপিআর জানিয়েছে, সাক্ষাৎকালে তারা পারস্পরিক কুশল বিনিময় ও দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে মত বিনিময় করেন। ভারতীয় বিমানবাহিনীর ভাইস চিফের এই সফর দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা যায়।
এ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করবে ভারত : পারিকর
এদিকে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) জানিয়েছে, সফররত ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর গোপালকৃষ্ণ প্রভু পারিকর সন্ত্রাসবাদকে আন্তর্জাতিক সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, ভারত এ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। গতকাল বিকালে বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে ভারতীয় মন্ত্রী একথা বলেন। মন্ত্রীকে বঙ্গভবনে স্বাগত জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, সব ধরনের সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় বাংলাদেশ জিরো টলারেন্স নীতি বজায় রাখছে। তিনি কাশ্মীরের ইউরি সেনা ঘাঁটিতে কাপুরুষোচিত সন্ত্রাসী হামলা এবং ভারতের পাঠানকোট বিমান ঘাঁটিতে হামলায় সমবেদনা জানান। বৈঠক শেষে প্রেসিডেন্টের প্রেস সচিব জয়নাল আবেদিন সাংবাদিকদের একথা জানান। আবদুল হামিদ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উল্লেখ করে বলেন, এই সম্পর্ক ক্রমান্বয়ে বিস্তৃত হচ্ছে। তিনি দু’দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক বাড়াতে প্রশিক্ষণের জন্য বাংলাদেশে আরো ভারতীয় সামরিক অফিসার পাঠানোর আহ্বান জানান। প্রেসিডেন্ট ১৯৭১ সালে এদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভারতীয় জনগণ ও সরকারের অবদানের কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ওই যুদ্ধে ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর বহু বীর সেনা শহীদ হয়েছেন। মনোহর পারিকর ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার প্রতিরক্ষা সম্পর্ক জোরদারে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণের ওপর জোর দেন। এ সময় প্রেসিডেন্টের সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
বিমানবাহিনী প্রধানের সঙ্গে ভারতীয় বিমানবাহিনীর ভাইস চিফের সাক্ষাৎ
এদিকে ভারতীয় বিমানবাহিনীর ভাইস চিফ এয়ার মার্শাল বিরেন্দর সিং ধানোয়া গতকাল বাংলাদেশ বিমানবাহিনী সদর দপ্তরে বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আবু এসরার-এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। আইএসপিআর জানিয়েছে, সাক্ষাৎকালে তারা পারস্পরিক কুশল বিনিময় ও দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে মত বিনিময় করেন। ভারতীয় বিমানবাহিনীর ভাইস চিফের এই সফর দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা যায়।
এ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করবে ভারত : পারিকর
এদিকে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) জানিয়েছে, সফররত ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর গোপালকৃষ্ণ প্রভু পারিকর সন্ত্রাসবাদকে আন্তর্জাতিক সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, ভারত এ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। গতকাল বিকালে বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে ভারতীয় মন্ত্রী একথা বলেন। মন্ত্রীকে বঙ্গভবনে স্বাগত জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, সব ধরনের সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় বাংলাদেশ জিরো টলারেন্স নীতি বজায় রাখছে। তিনি কাশ্মীরের ইউরি সেনা ঘাঁটিতে কাপুরুষোচিত সন্ত্রাসী হামলা এবং ভারতের পাঠানকোট বিমান ঘাঁটিতে হামলায় সমবেদনা জানান। বৈঠক শেষে প্রেসিডেন্টের প্রেস সচিব জয়নাল আবেদিন সাংবাদিকদের একথা জানান। আবদুল হামিদ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উল্লেখ করে বলেন, এই সম্পর্ক ক্রমান্বয়ে বিস্তৃত হচ্ছে। তিনি দু’দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক বাড়াতে প্রশিক্ষণের জন্য বাংলাদেশে আরো ভারতীয় সামরিক অফিসার পাঠানোর আহ্বান জানান। প্রেসিডেন্ট ১৯৭১ সালে এদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভারতীয় জনগণ ও সরকারের অবদানের কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ওই যুদ্ধে ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর বহু বীর সেনা শহীদ হয়েছেন। মনোহর পারিকর ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার প্রতিরক্ষা সম্পর্ক জোরদারে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণের ওপর জোর দেন। এ সময় প্রেসিডেন্টের সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।