বিজিপিকে মুক্তিপণ দিয়ে ফিরলেন দুই বাংলাদেশী

Slider জাতীয়

42721_tkn

 

ঢাকা; মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে ১৫ ঘণ্টা আটক ছিলেন টেকনাফ সদর ইউনিয়নের বড়ইতলী গ্রামে বসবাসকারী দিল মোহাম্মদ (২২) ও মতিউর রহমান (২৫)। মঙ্গলবার রাত এশা’র নামাজের পর নাফ নদীতে একটি ডিঙ্গি নৌকা নিয়ে ওরা দু’ জন জাল ফেলেন। একপর্যায়ে মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর একটি স্পিডবোট তাদের ধরে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে একজনকে হাত-পা বেঁধে সাগরে ফেলে দেয়, আবার তুলে নেন। পরে স্বজনদের ফোন দিয়ে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। চলে দর কষাকষি। সকালে শেষমেশ ৪০ হাজার টাকায় দফারফা হয়। স্বজনরা দ্বারকর্জ করে টাকা যোগাড় করে। বড়ইতলী এলাকার ছৈয়দ নুর ও অপর একজন টাকা নিয়ে গিয়ে দু’জেলেকে বুধবার সাড়ে ১১টার দিকে গ্রামে ফিরিয়ে আনে। কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশন ইনচার্জ লে. আতাউর রহমান জানান, নাফনদী হতে দু’জেলেকে ধরে নেয়ার বিষয়টি জেনেছেন। তবে এরা ফিরে এসেছে কিনা তা নিশ্চিত নন বলেও জানান।
এদিকে বাংলাদেশে কারাভোগ শেষ করা মিয়ানমারের ৯১ জেলেকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। ঘুমধুম  (বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ৩নং ঘুমধুম ইউনিয়নের অন্তর্গত)  বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সেতুর সন্নিকটে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে  মিয়ানমারের ইমিগ্রেশন এ্যান্ড ন্যাশনাল রেজিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট’র সঙ্গে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-এর একটি পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশ পক্ষে নেতৃত্ব দেন  ৩৪ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল ইমরান উল্লাহ সরকার, এবং মিয়ানমার পক্ষে নেতৃত্ব দেন মংডু ইমিগ্রেশন এ্যান্ড ন্যাশনাল রেজিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট ডেপুটি ডাইরেক্টর চ্য চ।
ওই বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে আরো উপস্থিত ছিলেন বিজিবি কক্সবাজার সেক্টর সদর দপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (অপারেশন) মেজর মো. আবদুস সালাম, ৩৪ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পরিচালক (উপ অধিনায়ক) মেজর মো. আবুল খায়ের এবং কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও কক্সবাজার জেলা পুলিশ-এর প্রতিনিধিবৃন্দ। অপরদিকে মিয়ানমার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন মিয়ানমার বিজিপি এবং ইমিগ্রেশন এ্যান্ড ন্যাশনাল রেজিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট-এর প্রতিনিধিবৃন্দ। বৈঠকে উভয় প্রতিনিধি দলের প্রধানগণ প্রথমে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপর গত  ২০১৫ সালের ৮ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের জলসীমায় অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনী হাতে আটক ৯১ জন মিয়ানমারের মৎস্যজীবীদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমার ইমিগ্রেশন এ্যান্ড ন্যাশনাল রেজিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট’র কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *