ঢাকা; নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট। একই সঙ্গে জেলা পরিষদের নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই জোট।
আজ মঙ্গলবার রাতে বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে ২০-দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। রাত ১০ টায় বৈঠক শেষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ব্রিফিংয়ে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, নারায়ণগঞ্জে জোটের দুই শরিক দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির দুজন মেয়র প্রার্থী আছেন। তাঁরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেবেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, বৈঠকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা, গাইবান্ধায় সাঁওতালদের গুলি করে হত্যা এবং বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নিরীহ মানুষের সম্পত্তি দখলের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে এর তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জানানো হয়। এ ছাড়া খালেদা জিয়াসহ সারা দেশে বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সারা দেশে শত শত মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির নিন্দা জানায় ২০ দল।
মির্জা ফখরুল বলেন, সভায় স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যে প্রস্তাব দিয়েছেন, সে জন্য ২০-দলীয় জোট তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। সভা মনে করে, খালেদা জিয়া প্রস্তাব বাস্তবসম্মত ও গ্রহণযোগ্য। এর ভিত্তিতে শক্তিশালী ইসি গঠনে আলোচনা শুরু করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ২০ দল।
এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘শক্তিশালী ইসি গঠনের প্রস্তাব রাষ্ট্রপতিকে দিতে তাঁর সাক্ষাৎ চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা এখনো সময় পাইনি। আশা করি পাব। আর না পেলে পাঠানোর যে প্রক্রিয়া আছে, সে প্রক্রিয়ায় পাঠানো হবে।’
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, কল্যাণ পার্টি সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জামায়াতের আবদুল হালিম, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ ন্যাপের গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, জোটের বৈঠক শেষে নারায়ণগঞ্জ জেলা, মহানগরসহ স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে খালেদা জিয়া। আগামীকাল দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন খালেদা জিয়া।