আজ মঙ্গলবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে শাহনূর বিশ্বাসের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশের মহাপরিদর্শক ও ঝিনাইদহের পুলিশ সুপারের প্রতি এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ২২ নভেম্বর হাইকোর্ট এক আদেশে ঝিনাইদহের পুলিশ সুপারকে সব আসামিকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কারাবন্দী করে ২৭ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেন। সেদিন রাষ্ট্রপক্ষ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সময় চান। আদালত আজ (২৯ নভেম্বর) প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করেন। এর ধারাবাহিকতায় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস পুলিশ সুপারের প্রতিবেদন তুলে ধরেন। এতে বলা হয়, ওই ঘটনায় করা মামলায় ১৬ আসামির মধ্যে তিনজন আগে গ্রেপ্তার হন। ১৩ জন পরে আত্মসমর্পণ করেন। গ্রেপ্তার হওয়াদের মধ্যে একজন জামিনে আছেন।
‘মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করাই অপরাধ? দুই পা গেছে, এখন ভিটেছাড়া হওয়ার ভয়’ শিরোনামে ২১ নভেম্বর প্রথম আলোতে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। প্রতিবেদনটি নজরে এলে আদালত ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সব আসামিকে কারাবন্দী করার নির্দেশ দেন।
গত ১৬ অক্টোবর ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থানার নলভাঙ্গা গ্রামে বখাটেরা শাহানূরকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। তাঁর আত্মীয় মো. ইয়াকুব আলী জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে সাতজনকে আসামি করে করা মামলায় অভিযোগ করেন, আসামিরা প্রথমে লোহার শাবল দিয়ে পিটিয়ে মাটিতে ফেলে দেন শাহানূরকে। পরে হাতুড়ি ও ছেনি দিয়ে হাঁটুতে আঘাত করেন। অন্যরা লোহার রড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় পেটান। এতে শাহানূরের মারাত্মক রক্তক্ষরণ হয়। পেশায় বর্গাচাষি শাহানূরের দুটি পা হাঁটুর ওপর থেকে কেটে ফেলতে হয়েছে। ১৬ জনকে আসামি করে অপর মামলাটি করেন শাহানূরের ভাই মহিনূর।