ঢাকা; রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর রক্তাক্ত অভিযান নিয়ে ইন্দোনেশিয়ায় প্রতিবাদ এবং জাকার্তাস্থ মিয়ানমার দূতাবাসে হামলা পরিকল্পনা বানচাল হওয়ার পর দেশটিতে সফর পিছিয়েছেন অং সান সু চি। মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জেষ্ঠ্য এক কর্মকর্তা সফর বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। খবরে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন নিয়ে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর সু চি আন্তর্জাতিক মহলের তীব্র সমালোচনার মুখে রয়েছেন। রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনীর অভিযানকে রোহিঙ্গাদের জাতিগত নিধন অভিযান বলে আখ্যা দিয়েছেন জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা। গত সপ্তাহজুড়ে রাখাইন থেকে হাজারো রোহিঙ্গা মরিয়া হয়ে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পালিয়েছে। এসব রোহিঙ্গাদের মুখে শোনা যাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে গণধর্ষণ, নির্যাতন আর হত্যার শিকার হওয়ার বিভিষিকাময় বর্ননা। সু চি সরকার এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, সেনাবাহিনী গত মাসে পুলিশি চৌকির ওপর হওয়া ভয়াবহ হামলার নেপথ্যের ‘সন্ত্রাসীদের’ বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে। রাখাইনে আন্তর্জাতিক সংবাদকর্মী এবং স্বতন্ত্র তদন্তকারীদের প্রবেশ করতে দিচ্ছে না মিয়ানমার। ফলে সেখানের ঘটনাপ্রবাহ স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করা দুরূহ হয়ে পড়েছে গণমাধ্যমের জন্য।
রোহিঙ্গাদের ওপর চলমান আগ্রাসী অভিযানের খবরে গত সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়ায় রাজপথে নামে হাজারো প্রতিবাদকারী। বিশ্বের সবথেকে বেশি মুসলিম জনবহুল এ দেশটির সরকারের প্রতি আন্দোলনকারীরা মিয়ানমারের সঙ্গে কুটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানায়। রোববার ইন্দোনেশিয়ার পুলিশ জানায় তারা তৃতীয় আরেকজন আইএস সংশ্লিষ্ট সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে। জাকার্তার মিয়ানমার দূতাবাসে তার হামলার পরিকল্পনা ছিল বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।
৩০শে নভেম্বর থেকে ২রা ডিসেম্বর পর্যন্ত সিঙ্গাপুর সফরের পর দুদিনের সফরে ইন্দোনেশিয়ার যাওয়ার কথা ছিল সু চি’র। কিন্তু রোহিঙ্গা ইস্যুতে সৃষ্ট সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে তিনি এ সফর পিছিয়েছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল আয় আয় সো বলেন, ‘রাখাইন ও উত্তর শান রাজ্যে সমস্যার কারণে আমরা ইন্দোনেশিয়া সফর পিছিয়েছি।’ এসব রাজ্যে সেনাবাহিনী ‘জাতিগত বিদ্রোহীদের’ সঙ্গে লড়ছে বলে তিনি দাবি করেন। নিরাপত্তার কারণে সফর পেছানোর বিষয়টি অস্বীকার করে বার্তা সংস্থা এএফপিতে তিনি বলেন, ‘নিকট ভবিষ্যতে এ সফরের ব্যবস্থা করা হবে।’
রোহিঙ্গাদের ওপর চলমান আগ্রাসী অভিযানের খবরে গত সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়ায় রাজপথে নামে হাজারো প্রতিবাদকারী। বিশ্বের সবথেকে বেশি মুসলিম জনবহুল এ দেশটির সরকারের প্রতি আন্দোলনকারীরা মিয়ানমারের সঙ্গে কুটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানায়। রোববার ইন্দোনেশিয়ার পুলিশ জানায় তারা তৃতীয় আরেকজন আইএস সংশ্লিষ্ট সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে। জাকার্তার মিয়ানমার দূতাবাসে তার হামলার পরিকল্পনা ছিল বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।
৩০শে নভেম্বর থেকে ২রা ডিসেম্বর পর্যন্ত সিঙ্গাপুর সফরের পর দুদিনের সফরে ইন্দোনেশিয়ার যাওয়ার কথা ছিল সু চি’র। কিন্তু রোহিঙ্গা ইস্যুতে সৃষ্ট সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে তিনি এ সফর পিছিয়েছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল আয় আয় সো বলেন, ‘রাখাইন ও উত্তর শান রাজ্যে সমস্যার কারণে আমরা ইন্দোনেশিয়া সফর পিছিয়েছি।’ এসব রাজ্যে সেনাবাহিনী ‘জাতিগত বিদ্রোহীদের’ সঙ্গে লড়ছে বলে তিনি দাবি করেন। নিরাপত্তার কারণে সফর পেছানোর বিষয়টি অস্বীকার করে বার্তা সংস্থা এএফপিতে তিনি বলেন, ‘নিকট ভবিষ্যতে এ সফরের ব্যবস্থা করা হবে।’