আন্দোলনকারীরা বলছেন, সংঘর্ষের সময় পুলিশের লাঠিপেটা ও ধাওয়ায় দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের দাবি, সংঘর্ষস্থল থেকে দূরে অন্য কোনো কারণে সফর আলী ও আবুল কালাম আজাদ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে মারা গেছেন।
আজ রোববার বেলা দুইটার দিকে ফুলবাড়িয়া উপজেলা সদরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সফর আলীর বাড়ি উপজেলার কুশমাইল গ্রামে।
কলেজের শিক্ষক ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ফুলবাড়িয়া কলেজকে জাতীয়করণের জন্য তালিকাভুক্ত না করে উপজেলার অন্য একটি কলেজকে তালিকাভুক্ত করায় দেড় মাস ধরে কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজন লাগাতার আন্দোলন করে আসছেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ দুপুরে আন্দোলনকারীরা উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়ে পুলিশ আন্দোলনকারীদের লাঠিপেটা করে ধাওয়া দেয়। এ সময় সফর আলী সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে মারা যান। কলেজের সহকারী অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ পুলিশের লাঠিপেটায় আহত হন। তাঁকে ময়মনসিংহের কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
ময়মনসিংহের কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের একজন চিকিৎসক নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, ফুলবাড়িয়া কলেজের সহকারী অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদকে আহত অবস্থায় বেলা তিনটার দিকে ভর্তি করা হয়। এর কিছুক্ষণ পরই তিনি মারা যান।
তবে ফুলবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিফাত খান রাজীব বলেন, ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৩০০ গজ দূরে সফর আলীকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। অন্য কোনো কারণে তিনি মারা যেতে পারেন। আর কলেজের সহকারী অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা নিতে গিয়ে হাসপাতালে মারা গেছেন।