মন্ত্রী বলেন, ছাত্রলীগের নামে কোনো অপকর্ম সহ্য করা হবে না এবং ছাত্রলীগে কোনো অপকর্মকারীর ঠাঁই হবে না। সুনামের ধারা ফিরিয়ে এনে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলার দায়িত্ব নেতাদের। ছাত্রলীগ সাম্প্রতিক সময়ে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা যথার্থ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন। সকালে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান। সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি দারুস সালাম।
এই ‘হল সম্মেলনের’ মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে ১৮টি হলের কমিটি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হলো। তবে আজ কমিটি দেওয়া যাবে কি না, তা নিশ্চিত নয়। বিভিন্ন হলে নিজেদের অনুসারীদের নিয়ে আসার জন্য কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা-কর্মীরা নিজেরাই দ্বিধাবিভক্ত।
সাধারণত, হল কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সভাপতির পক্ষের একজন ও সাধারণ সম্পাদক পক্ষের একজনকে মনোনীত করা হয়। তবে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরই সাবেক শিক্ষার্থী হওয়ায় হলগুলোতে তাদেরও অনুসারী থাকে। এখন ১৮টি হলের মধ্যে কে কোনটা নেবেন, তা নিয়ে তীব্র মতবিরোধ চলছে।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, আজ কমিটি দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। এ নিয়ে আলোচনা চলছে।