এস. এম. মনিরুজ্জামান মিলন, রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধিঃ ১০ টাকার চাল মানে ঠাকুরগাঁওবাসীর জন্য আশীর্বাদ নয় বরং অভিশাপ। প্রথমে অবস্থাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নামে কার্ড সরবরাহ, এরপর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কার্ড জালিয়াতির অভিযোগ। এবারে অভিযোগ উঠেছে ডিলারদের নামে।
ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার ৩ নং হোসেনগাঁও ইউনিয়নে খাদ্য বান্ধব কমর্সসূচীর আওতায় ৩য় পর্যায়ে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিনে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।
হাড়িয়া গ্রামের সাইফুদ্দিন, মুঞ্জুর আলম, বাসিনা বেগম, হযরত আলী, মোছাঃ জেসমিন, রাউৎনগর গ্রামের আনোয়ার ও কাশনারাসহ অনেকে অভিযোগ করে বলেন, বস্তা ওজন না করেই চাউল দিচ্ছিল মিঠু, চাউল মেপে দেখি ওজনে কম আছে।
ভ্যানচালক জামিরুল ক্ষোভের সাথে বলেন, ওজনে চাউল কম দেওয়ার প্রতিবাদ করতে গেলে ডিলার মিঠু আমাকে ধাক্কাধাক্কি করে।
বিষয়টি নিয়ে উত্তেজনা হলে পরে ডিজিটাল মেশিনে চাউল মেপে দেয়। ১,২,৮,৯ নং ওয়ার্ডের অনুমোদিত ডিলার মোঃ মির্জা মিঠু রহমান খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর আওতায় ১০ টাকা কেজি দরে চাউল ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
ইউএনও প্রতিনিধি ট্যাগ অফিসার জামাল হোসেন বস্তার চাল ওজনে কম থাকার প্রমাণ পেয়েছেন বলে জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মোঃ নাহিদ হাসান বলেন, অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। অনুমোদিত ডিলার মিঠুর ডিলারশীপ বাতিল করা হবে।