ওই আদালতের সরকারি কৌঁসুলি তাপস কুমার পাল বলেন, জসিম উদ্দিন রাহমানীসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা হয়। মামলার তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। গত ২৬ জুলাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মামলার অভিযোগ আমলে নেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। আজ আদালত এই মামলার অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু করেছেন।
আসামিরা হলেন জসিম উদ্দিন রাহমানী, সাইফুল ইসলাম, আবু হানিফ, জাহিদুর রহমান, কাজী রেজোয়ান, কাজী নাইমুল হাসান, জুন্নুন শিকদার, পিয়াস ওরফে আবদুল্লাহ, আমিনুল ইসলাম ও আলী আজাদ। তাঁদের মধ্যে তিনজন কারাগারে। ছয়জন পলাতক। একজন জামিনে আছেন।
মামলার নথিতে দেখা গেছে, জঙ্গি তৎপরতা, সরকার ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান জসিম উদ্দিন রাহমানীসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ২৪ আগস্ট মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করে পুলিশ। পরে তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন ডিবির পরিদর্শক মো. আবদুল লতিফ শেখ। বিচারের জন্য ওই বছরের ২৬ অক্টোবর মামলার নথি পাঠানো হয় ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে। ২০১৪ সালের ২৩ নভেম্বর সরকারের অনুমোদনের জন্য ওই আদালত থেকে প্রথম দফায় চিঠি পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়। এরপর আরও দুই দফা চিঠি গেছে, যার সর্বশেষটি পাঠানো হয় এ বছরের ২৮ মার্চ। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে সাড়া দিয়ে কোনো জবাব আদালতে আসেনি। সরকারের অনুমোদনের জন্য এ পর্যন্ত ১১ বার মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছিল। আসামিরা এজলাসে এসেছেন আর ফিরে গেছেন।
একই মামলায় গ্রেপ্তার আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের চার সদস্য জুন্নুন শিকদার, কাজী রেজোয়ান, নাইমুল হাসান ও জাহিদুর রহমান জামিনে মুক্ত হয়ে এখন পলাতক।
২০১৩ সালের ১২ আগস্ট বরগুনা থেকে আটক হন জসিম উদ্দিন রাহমানী। সেই থেকে তিনি কারাগারে। ব্লগার রাজীব হায়দার হত্যা মামলায় ইতিমধ্যে জসিমকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।