ঢাকা; নির্বাচনকালের সরকার প্রসঙ্গে বিকল্প ধারার প্রেসিডেন্ট এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যই প্রধান। তাঁর বক্তব্যের রেশ ধরেই প্রস্তাব বের করতে হবে। তাঁর সঙ্গে দেখা করতে হবে। বিকল্প ধারা এই বিষয়ে একটি প্রস্তাব দেবে বলেও তিনি জানান।
বি চৌধুরী বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনকালে একটি সর্বদলীয় সরকারের প্রস্তাব করেছিলেন। তিনি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। বিএনপির সে সুযোগটি হাতছাড়া করা ঠিক হয়নি।
খালেদা জিয়ার নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের প্রস্তাব প্রসঙ্গে বিএনপির সাবেক এই মহাসচিব বলেন, ইসির চেয়ে নির্বাচনকালের নিরপেক্ষ সরকার বেশি গুরুত্বপূর্ণ। পুরোপুরি নিরপেক্ষ না হলেও ‘নিরপেক্ষতার কাছাকাছি’ সরকার। আন্দোলন করা উচিত নিরপেক্ষতার কাছাকাছি সরকারের জন্য। সর্বদলীয় সরকার নিরপেক্ষতার কাছাকাছি হতে পারে।
রাষ্ট্রপতির কাছে বিএনপির প্রস্তাব দেওয়ার দিকে ইঙ্গিত করে সাবেক রাষ্ট্রপতি বি চৌধুরী বলেন, রাষ্ট্রপতির কিছু করার ক্ষমতা নেই। তাঁকে যতই গুণবাচক বিশেষণ দেওয়া হোক, তিনি কিছু করতে পারবেন না। কারণ, সংবিধানেই বলা আছে, রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে কাজ করবেন।
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর সে দেশের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের ঘটনায় বাংলাদেশ সরকার ও বিএনপির নীরবতার সমালোচনা করেন বি চৌধুরী।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ আবারও বিনা ভোটে নির্বাচিত হতে চায় বলে বিএনপির প্রস্তাব সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করেছে। মাওলানা ভাসানী সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। তাঁর জীবন থেকে শিক্ষা নিতে হবে। ভাসানী ছিলেন মহিরুহ। তিনি সমাজকে বদলে দিতে চেয়েছিলেন।
কমিউনিস্ট পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য হায়দার আকবর খান রনো বলেন, ভাসানী বিশাল মাপের মানুষ ছিলেন। মানুষের মুক্তির সংগ্রামের পথ হিসেবে তিনি রাজনীতিকে বেছে নিয়েছিলেন। পাকিস্তান আমলে প্রথম গণতান্ত্রিক আন্দোলন, অসাম্প্রদায়িক আন্দোলন ও স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলন শুরু করেছিলেন তিনি।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী, সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন।