ঢাকা; ৭০ বছর বয়সে এসে ইতিহাসের সবচেয়ে বয়জ্যেষ্ঠ মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ডনাল্ড ট্রাম্প। আগামী ২০শে জানুয়ারি প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করবেন তিনি। কিন্তু নির্বাচনী প্রচারণায় যে ধকল সহ্য করতে হয়েছে ট্রাম্পকে, তার সঙ্গে প্রেসিডেন্টের দায়িত্বভার তার শরীরের জন্য মারাত্মক হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এমনকি প্রেসিডেন্টের দায়িত্বভার গ্রহণের পর হার্ট অ্যাটাক করে মারাও যেতে পারেন ট্রাম্প। এমনই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন বৃটিশ কার্ডিওলজিস্ট ডা. প্যাট্রিক হেক। বৃটেনের ডেইলি এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়, চিকিৎসাবিষয়ক এক সম্মেলনে এই আশঙ্কার কথা তুলে ধরেছেন তিনি। এর আগে ট্রাম্পের প্রচারণা শিবিরের পক্ষ থেকে তার স্বাস্থ্যের খবর প্রকাশ করা হয়। তাতে ট্রাম্পের নিজস্ব ডাক্তার বলেছিলেন, স্বাস্থ্যগত দিক থেকে ট্রাম্প ‘চমৎকার’ অবস্থায় রয়েছেন। ডা. হেক ওই রিপোর্টকে উড়িয়ে দিয়েছেন। বলেছেন, হোয়াইট হাউজে প্রবেশের পর হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিতে রয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘আমি ডনাল্ড ট্রাম্পের চিকিৎসকের দেয়া রিপোর্টের বিষয়বস্তুতে বেশ বিস্মিত। উত্তেজনাপূর্ণ প্রচারণা, নির্ঘুম রাত ও বিশেষত শেষ সপ্তাহগুলোতে ঠাসা কর্মসূচি ৭০ বছর বয়সী একজন ব্যক্তির হৃদপি-ের ওপর যথেষ্টা চাপ প্রয়োগ করার মতো।’ তিনি আরো বলেন, ট্রাম্পের বয়সী একজন ব্যক্তি গড় হিসেবেই আর ১৪ বছর বাঁচার প্রত্যাশা করতে পারেন। তার ওপর যে পরিমাণ চাপ তাকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিতে হবে, তা তার জন্য প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন ডা. হেক। তিনি বলেন, ‘তিনি হার্ট অ্যাটাকের উল্লেখযোগ্য মাত্রার ঝুঁকিতে রয়েছেন।’
এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসে ট্রাম্পের নিজস্ব চিকিৎসক ডা. হ্যারল্ড বর্নস্টেইন তার শারীরিক পরিস্থিতির রিপোর্ট প্রকাশ করেন। তাতে তিনি বলেন, ধনকুবের এই ব্যবসায়ী ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি লম্বা। তবে উচ্চতার তুলনায় তার ওজন বেশি। ওই সময় ট্রাম্পের ওজন ছিল ১৬ স্টোন ৯ পাউন্ড বা ১০৫ কেজিরও বেশি। রিপোর্টে বলা হয়, ট্রাম্প কোলেস্টোরেল নিয়ন্ত্রণের জন্য ওষুধ গ্রহণ করে থাকেন। স্বল্প মাত্রায় অ্যাসপিরিনও সেবন করেন ট্রাম্প। আর ইকো কার্ডিওগ্রামের রিপোর্টও স্বাভাবিক। ট্রাম্প মদ্যপান ও ধুমপান করেন না বলেও উল্লেখ করা হয় রিপোর্টে। তবে ডা. হেক বলছেন, ‘ট্রাম্পের লিমুজিন বাইরে দাঁড়ানো থাকা অবস্থায় মাত্র পাঁচ মিনিটে’ ডা. বর্নস্টেইন ওই রিপোর্ট লিখেছিলেন। ডা. হেক ছাড়াও অন্য এক চিকিৎসক দাবি করেছেন, ৪৬ বছর বয়সী স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্পের সঙ্গে দাম্পত্যকেও ট্রাম্পের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। ২০০৫ সালে মেলানিয়াকে বিয়ে করেন ট্রাম্প এবং এই দম্পতির ১০ বছর বয়সী একটি সন্তানও রয়েছে। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ক্যারেন মর্টন বলেন, ‘তার ব্যাক্তিজীবনও নিশ্চিতভাবে একটি ফ্যাকটর। তার স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প একজন সুন্দরী ও উচ্চাকাক্সক্ষী নারী। ৪৬ বছর বয়সী মেলানিয়া নিশ্চিতভাবেই তার তারুণ্যের শীর্ষাবস্থা থেকে সুনির্দিষ্ট কিছু দাবি করবেন। মেলানিয়ার প্রয়োজন সময় ও শক্তি। এখন আমরা আশা করি তিনি (ট্রাম্প) ‘কাজ করতে করতে মৃত্যুবরণ করবেন না’ বা ‘শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের সময় মৃত্যুবরণ করবেন না’; ফ্রান্সে যেটাকে বলা হয় ‘ভালোবাসার মৃত্যু’।’
এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসে ট্রাম্পের নিজস্ব চিকিৎসক ডা. হ্যারল্ড বর্নস্টেইন তার শারীরিক পরিস্থিতির রিপোর্ট প্রকাশ করেন। তাতে তিনি বলেন, ধনকুবের এই ব্যবসায়ী ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি লম্বা। তবে উচ্চতার তুলনায় তার ওজন বেশি। ওই সময় ট্রাম্পের ওজন ছিল ১৬ স্টোন ৯ পাউন্ড বা ১০৫ কেজিরও বেশি। রিপোর্টে বলা হয়, ট্রাম্প কোলেস্টোরেল নিয়ন্ত্রণের জন্য ওষুধ গ্রহণ করে থাকেন। স্বল্প মাত্রায় অ্যাসপিরিনও সেবন করেন ট্রাম্প। আর ইকো কার্ডিওগ্রামের রিপোর্টও স্বাভাবিক। ট্রাম্প মদ্যপান ও ধুমপান করেন না বলেও উল্লেখ করা হয় রিপোর্টে। তবে ডা. হেক বলছেন, ‘ট্রাম্পের লিমুজিন বাইরে দাঁড়ানো থাকা অবস্থায় মাত্র পাঁচ মিনিটে’ ডা. বর্নস্টেইন ওই রিপোর্ট লিখেছিলেন। ডা. হেক ছাড়াও অন্য এক চিকিৎসক দাবি করেছেন, ৪৬ বছর বয়সী স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্পের সঙ্গে দাম্পত্যকেও ট্রাম্পের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। ২০০৫ সালে মেলানিয়াকে বিয়ে করেন ট্রাম্প এবং এই দম্পতির ১০ বছর বয়সী একটি সন্তানও রয়েছে। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ক্যারেন মর্টন বলেন, ‘তার ব্যাক্তিজীবনও নিশ্চিতভাবে একটি ফ্যাকটর। তার স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প একজন সুন্দরী ও উচ্চাকাক্সক্ষী নারী। ৪৬ বছর বয়সী মেলানিয়া নিশ্চিতভাবেই তার তারুণ্যের শীর্ষাবস্থা থেকে সুনির্দিষ্ট কিছু দাবি করবেন। মেলানিয়ার প্রয়োজন সময় ও শক্তি। এখন আমরা আশা করি তিনি (ট্রাম্প) ‘কাজ করতে করতে মৃত্যুবরণ করবেন না’ বা ‘শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের সময় মৃত্যুবরণ করবেন না’; ফ্রান্সে যেটাকে বলা হয় ‘ভালোবাসার মৃত্যু’।’