এস. এম. মনিরুজ্জামান মিলন, রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধিঃ আর প্রশাসক নয়। এবার দেশের সকল জেলা পরিষদ পেতে যাচ্ছে নির্বাচিত চেয়ারম্যান। ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য জেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রচারণায় মাঠে নেমেছেন।
তফসিল ঘোষণার পর থেকেই ঠাকুরগাঁওয়ে সর্বত্র ভোটারদের মধ্যে চলছে নির্বাচন নিয়ে নানা হিসেব-নিকেশ। প্রথমবারের মতো নতুন পদ্ধতিতে হতে যাওয়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে কে হচ্ছেন এবারের জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সেদিকেই তাকিয়ে আছেন ঠাকুরগাঁও জেলাবাসী।
বিএনপি ও জাতীয় পার্টি জেলা পরিষদের নির্বাচন বর্জন করলেও আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা নির্বাচনকে সফল করতে তৎপর রয়েছেন। উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের মতো মাঠে-ঘাটে, চায়ের দোকানে কথার ঝড় না উঠলেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাঝে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা।
সম্ভাব্য প্রার্থীরা দলীয় মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডে চালাচ্ছেন জোর লবিং-তদবির। কিন্তু এখন পর্যন্ত সদস্য প্রার্থীদের কোনো নাম শুনা যায়নি। সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন, বর্তমান জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সাদেক কুরাইশী, সহ-সভাপতি এমদাদুল হক, অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন বাবু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়, কেন্দ্রীয় প্রজন্ম লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম ফেরদৌস টগর, মুক্তিযোদ্ধা ফোরামের নেতা বাবলুর রহমান ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার ৫৩টি ইউনিয়ন, ৫টি উপজেলা ও ৩টি পৌরসভার ইলেকটোরাল ভোটারদের (চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, পৌর কাউন্সিলর) নিয়ে জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ঠাকুরগাঁওয়ে মনোনয়ন দাখিলের শেষ তারিখ ১ ডিসেম্বর এবং বাছাই ৩ ও ৪ ডিসেম্বর। এই নির্বাচনের মোট ভোটার সংখ্যা ৭৩৩ জন।
জেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পর্কে জেলা পরিষদের বর্তমান প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সাদেক কুরাইশী বলেন,
আমি পাঁচ বছর জেলা পরিষদের দায়িত্ব পালন করলাম। মানুষের মধ্যে জেলা পরিষদের যে সুফল তা আমি ছড়িয়ে দিতে পেরেছি। আমি বিশ্বাস করি সৎ এবং নিষ্ঠার সঙ্গে জেলা পরিষদ পরিচালনা করেছি। পরবর্তীতে দেশ নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি আবার আমাকে মনোনয়ন দেন তাহলে আমি আবার সকলের সেবা করার চেষ্টা চালিয়ে যাবো।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শুকুর আলী বলেন, আমি আশা করছি যে জেলা পরিষদ নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হবে এবং উৎসবমুখর পরিবেশে
ভোটগ্রহণ হবে। সকলের সার্বিক সহযোগিতায় আমরা একটি সুষ্ঠ নির্বাচন উপহার দিতে সক্ষম হব।