ফরিদপুর: ভাঙ্গা উপজেলা ছাত্রলীগ ও স্থানীয় স্বতস্ত্র সাংসদ একই সময়ে মুনসুরাবাদ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে জনসভা আহ্বান করায় প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে উভয় পক্ষই কর্মসূচি বাতিল করেছে। আজ শুক্রবার ওই জনসভা হওয়ার কথা ছিল।
ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন) আসনের স্বতন্ত্র সাংসদ মজিবুর রহমান ওরফে নিক্সন চৌধুরী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগনে মৃত ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরীর ছেলে। সাংসদ মজিবুরের ভাই নূর-ই আলম চৌধুরী পাশের মাদারীপুরের আওয়ামী লীগের সাংসদ। গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসান হাবিব বলেন, গতকাল সন্ধ্যা ছয়টা থেকে আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত মুনসুরাবাদ উচ্চবিদ্যালয় মাঠ ও এর আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সূত্র জানায়, আজ হামিরদী ইউনিয়নের ভীমের কান্দা খালের ওপর সাংসদ মজিবুর রহমানের একটি সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার কথা। এরপর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেনের স্বতন্ত্র সাংসদের পক্ষে যোগদান উপলক্ষে মুনসুরাবাদ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে বেলা তিনটার দিকে জনসভা আহ্বান করা হয়। কাজী জাফরউল্লাহ চতুর্থবারের মতো আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হওয়ায় তাঁকে সংবর্ধনা ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের পরিচিতি উপলক্ষে একই স্থানে একই সময়ে জনসভা ডাকে উপজেলা ছাত্রলীগ। এ নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসন সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করে।
সাংসদ মজিবুরের সমর্থক ও ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আমরা প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে ওই স্থানে জনসভা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে ওই সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হবে। সুযোগ পেলে সেখানে স্বল্প পরিসরে জনসভা করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ১৫ দিন আগে ওই জনসভা করার জন্য ইউএনও ও ওসির কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া হয়েছে। তা বানচাল করার জন্যই ছাত্রলীগকে দিয়ে একই স্থানে ও একই সময়ে পাল্টা সমাবেশে আয়োজন করিয়েছেন কাজী জাফরউল্লাহ।
ভাঙ্গা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরাও অনেক আগেই কর্মসূচি দিয়েছিলাম। তবে প্রশাসনের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানিয়ে তা প্রত্যাহার করেছি।’