সিলেটে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ শুরু

Slider বাংলার সুখবর সিলেট

img_20161124_130836

হাফিজুল ইসলাম লস্কর, সিলেট প্রতিনিধি :: জেলা পরিষদ নির্বাচনের দিন যতই এগিয়ে আসছে, ততই সিলেট জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিস নগরীর মেন্দিবাগস্থ কার্যালয়ে বিভিন্ন পদের প্রার্থীদের ভিড় বাড়ছে।

নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, ২৩/১১/২০১৬ বুধবার থেকে পদ প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ শুরু করেছেন। নির্বাচনের নিয়মকানুন ও বিধি জানতে প্রার্থীরা ছুটে আসছেন সিলেট নির্বাচন অফিসে।

সদস্য প্রার্থী সৈয়ীদ আহমদ বহলুল ১২ নম্বর ও অ্যাডভোকেট শামীম আহমদ ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সদস্য পদে প্রার্থী হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। সেজন্য সকল প্রার্থীকে নির্ধারিত তারিখে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে নির্দেশনায় বলা হয়েছে।

এতে জামানতের টাকা ট্রেজারি কোড ১-০৬০১-০০০১-৮৪৭৩ নম্বরে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ২০ হাজার, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ও সাধারণ সদস্য পদ প্রার্থীদের ৫ হাজার টাকা করে জমা দিতে নির্দেশনায় বলা হয়েছে।

নির্বাচন অফিস সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানাযায়, প্রার্থীদের প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপিসহ জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুরূপ স্বাক্ষর প্রদান করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

এছাড়া প্রার্থীদের সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা সনদের একটি কপি সহ তিন কপি সত্যায়িত ছবি, সম্ভাব্য নির্বাচনি বা উৎসব বিবরণী (ফরম ঢ) পূরণ করতে হবে।

চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ১২ ডিজিটের টিন সনদের কপি, সর্বশেষ আয়ের দাখিলকৃত আয়কর রিটার্নের রসিদ কপি, সংরক্ষিত ও সাধারণ সদস্য প্রার্থীদের পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশন এলাকার অধিবাসী হয়ে থাকলে টিন সনদের কপি, সর্বশেষ আয়কর রিটার্ন রসিদের কপি প্রদান করতে হবে।

তাছাড়া ৩শ’ টাকার স্টাম্পে প্রত্যেক পদপ্রার্থীরা ৭টি তথ্য সংবলিত হলফনামা লিখে জমা দিতে ও নির্বাচনি ব্যয়ভার নির্বাহের জন্য যে কোনো তফশিলি ব্যাংকে একটি স্বতন্ত্র ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। যেটি নির্বাচন পরবর্তীকালে ব্যয়ের রিটার্ন জমা প্রদানকালে উক্ত ব্যাংক হতে টাকা উত্তোলনের বিবরণ প্রদান করতে হবে।

চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ক্ষেত্রে নির্বাচনের ব্যয় নির্বাহ করতে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত খরচ বাবত ৫০ হাজার টাকা আর নির্বাচনি ব্যয়সীমা সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা, সংরক্ষিত ও সাধারণ সদস্য প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত খরচ বাবদ ১০ হাজার টাকা, আর নির্বাচনি ব্যয় সীমা সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা নির্দেশনায় বলা হয়েছে।

তবে কোনো ভোটার প্রস্তাবক অথবা সমর্থক হিসেবে চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত ও সাধারণ সদস্য প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে ১টি পদের বিপরীতে একাধিক প্রার্থীদের মনোনয়নপত্রে নাম ব্যবহার করলে ওই ধরনের মনোনয়নপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে।

এছাড়া প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীর নাম জেলা পরিষদ নির্বাচনের নির্বাচক মন্ডলীর ভোটার তালিকায় নাম থাকতে হবে।

জেলা পরিষদ নির্বাচনি এ নতুন নির্দেশনায় সিডি বিক্রয়ের বিভিন্ন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ১ থেকে ১৫ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ড পর্যন্ত সিডি মূল্যের মধ্যে ১ নম্বর ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে ১৬ হাজার টাকা, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ৩ হাজার ৫শ’ টাকা, ৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ৪ হাজার টাকা, ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ৩ হাজার ৫শ’টাকা, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ৪ হাজার টাকা, ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ৭ হাজার ৫শ’ টাকা, ১১ নম্বর ওয়ার্ডে ৪ হাজার, ১২ নম্বর ওয়ার্ডে ৮ হাজার, ১৩ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ৭ হাজার ৫শ’ এবং ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে ৩ হাজার ৫শ’ টাকা।

সংরক্ষিত ১ নম্বর ওয়ার্ডে ২৩ হাজার টাকা, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ১১ হাজার ৫শ’ টাকা, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ১৯ হাজার ৫শ’ টাকা, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ১৮ হাজার ৫শ’ টাকা। চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৮৪ হাজার টাকা সিডি বিক্রয়ের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

সিলেট নির্বাচন অফিস সূ্ত্রে জানাযায়, ২৩/১১/২০১৬-০১/১২/২০১৬ পর্যন্ত সকল প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা, ৩-৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই, ১১/১২/২০১৬ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার এবং ২৮/১২/২০১৬ জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *