চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল আওয়াল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা মেশিন দিয়ে ধান কেটে, মাড়াই করে, বস্তায় ভরে সাঁওতালদের দেব।’
আবদুল আওয়াল আরও বলেন, এখন ধান কাটার সময় সাঁওতালদের পক্ষ থেকে কেউ উপস্থিত না থাকলেও তাঁদের সম্মতিতেই ধান কাটা হচ্ছে।
চলতি বছরের ১ জুলাই সাঁওতালরা সাহেবগঞ্জ বাণিজ্যিক খামারের জমি দখল করে বসবাস শুরু করেন। ৬ নভেম্বর তাঁদের উচ্ছেদ করা হয়। সাঁওতালরা খামারের মোট ১ হাজার ৮৪২ একর জমির মধ্যে প্রায় ১৩৫ একর জমিতে রোপা আমন ধান চাষ করেন, যার মধ্যে ৩০ একর জমির ধান পেকেছে। এগুলো কাটা হচ্ছে। ধান কাটা মেশিন দিয়ে ঘণ্টায় প্রায় এক বিঘা জমির ধান কাটা যায়।
৬ নভেম্বর গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় রংপুর চিনিকলের জমিতে আখ কাটাতে কেন্দ্র করে পুলিশ ও চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে সাঁওতালদের সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে তিরবিদ্ধ হয়েছেন নয়জন। গুলিবিদ্ধ হন চারজন। এই সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন সাঁওতাল নিহত হন। ঘটনার ১১ দিন পর সাঁওতালদের মামলা নেয় পুলিশ। সাঁওতালদের পক্ষে উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের রামপুরা গ্রামের স্বপন মুরমু বাদী হয়ে প্রায় ৬০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি দেখিয়ে এই মামলা করেন।