বরগুনায় মৎস্যজীবী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

Slider বাংলার মুখোমুখি

26127_ds

 

বরগুনা প্রতিনিধি; বরগুনার বামনা উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি এবং দক্ষিণ রামনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. নূর আলম সিদ্দিকী প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হয়েছেন। বুধবার ভোর রাতে উপজেলার দক্ষিণ রামনা গ্রামের নিজ বাড়িতে তিনি হামলার শিকার হন। এসময় নূর আলমের স্ত্রী সালমা খন্দকার এবং পুত্র মো. আহাদ সিদ্দিকী গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। প্রতিপক্ষ মো. গোলাম কবির হোসেন গ্রুপের লোকেরা এ হত্যাকা- ঘটিয়েছে বলে দাবি নিহতের পরিবারের।
পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, নূর আলম সিদ্দিকী বুধবার ভোর রাতে ফজরের নামাজ পড়ার জন্য পুকুরে ওজু করতে যান। তখন প্রতিপক্ষ একই বাড়ির মৃত ডা. মতিউর রহমানের ছেলে গোলাম কবির হোসেন (৫২), গোলাম ফারুক হোসেন (৪৫) এর নেতৃত্বে মৃত আ. লতিফের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন মিন্টু (৫০), মেয়ে শাহানারা হেনা (৪৫), গোলাম ফারুক হোসেনের ছেলে মো. আশিকুর রহমান বাবু (২০), মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মিন্টুর ছেলে মো. হৃদয় হোসেন (২০) এবং একই গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে মো. কাকন হোসেন(২০), আবু হাশেমের ছেলে মো. আবুল হোসেন(৫৫), আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে মো. রাসেল হোসেন (৩৫), আঃ লতিফের ছেলে মো. আফজাল হোসেন (৩৫), মো. আবুল হাশেমের ছেলে মো. সেলিম হোসেন (৩২) সহ  ২০/২৫ জনের একদল সন্ত্রাসী গ্রুপ তাকে (নুর আলম সিদ্দিকীকে) রামদা, ছেনা এবং চল দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। ওই সময় তার চিৎকার শুনে ছেলে আহাদ সিদ্দিকী এবং স্ত্রী সালমা খন্দকার দৌড়ে আসলে তাদেরও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। সন্ত্রাসীরা আহত মো. নূর আলম সিদ্দিকীকে পুকুরে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে এলাকাবাসী এসে তাদের সবাইকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। পরে চিকিৎসক তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর সাড়ে ১২ টায় মো. নূর আলম সিদ্দিকী মারা যায়।
উল্লেখ্য, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে মো. নূর আলম সিদ্দিকিকে হত্যা করার জন্য ১৯৯৯ সালে গোলাম কবির হোসেন গুলি করেছিল। এ রিপোট লেখা পর্যন্ত এ ব্যাপারে বামনা থানায় কোন মামলা হয়নি, ঘাতকদের কাউকে আটকও করতে পারেনি পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *