এম এ কাহার বকুল, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ, প্রায় ৫ লাখ টাকা ব্যায়ে নির্মিত দুইটি কালভার্ট লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের পশ্চিম গিলাবাড়ি মরা সতি নদীর উপর ভেল্লার মাল্লিতে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা ব্যায়ে নির্মিত কালভার্ট ও একই ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের উপেন বানিয়ার বাড়ির পাশ্বের ৯০হাজার ৫শত টাকা ব্যায়ে নির্মিত ইউড্রেনটি উদ্বোধনের দিনেই ভেঙ্গে পড়ে।
সারপুকুর ইউনিয়ন পরিষদ সুত্রে জানা গেছে, লোকাল গভানেন্স সাপোর্ট প্রজেক্ট (এলজিএসপি-২) এর মাধ্যমে ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে ওই ইউনিয়নের ১৪টি প্রকল্পের বিপরীতে ২৭ লাখ ৯৮ হাজার ৪৭৩টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়। এসব কাজের জন্য প্রকাশ্যে দরপত্র আহবানের মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ দিয়ে কাজ সম্পন্ন করার বিধান থাকলেও এখানে ঘটেছে উল্টো। এ ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আব্দুস সালাম সরকার সাড়ে তিন বছর একই স্থানে থাকার সুবাদে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে পছন্দের ঠিকাদারকে উৎকোচের মাধ্যমে কাজ লাগিয়ে দেন।
প্রকল্প গুলো বাস্তবায়ন কালে অত্যন্ত নিম্নমানের ইট খোয়া সিমেন্ট সামগ্রী ব্যবহার করায় স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলেও কোন কাজে আসে নি। রাতের আঁধারে করা হয় এ দুইটি প্রকল্পের ঢালাইয়ের কাজ। কাজ শেষ করে যাতায়তের জন্য কালভার্ট ও ইউড্রেনটি চালু করলে ওই দিনেই ভেঙ্গে যায়। ফলে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়ে পুরো এলাকার। কোন কাজে আসছে না কালভার্ট দু’টি।
স্থানীয়রা জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করে লিখিত ভাবে অভিযোগ দায়ের করেন এলাকাবাসী। অভিযোগে স্থানীয়দের দাবি, ভেঙ্গে যাওয়া ইউড্রেন প্রকল্পটির ঠিকাদার আদিতমারী উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইদ্রীস আলী সম্পর্কে ইউনিয়ন সচিবের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। অপরজন সেলিম তার নিকট আত্মীয় ।
প্রকল্প দু’টিতে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের কারনেই উদ্বোধনের দিনই ভেঙ্গে যায় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। তারা দ্রুত কালভার্ট দু’টি পুনরায় নতুন করে নির্মাণের দাবি জানান।
পশ্চিম গিলাবাড়ি এলাকার ছাবেদ আলী, মুকুল মিয়া, জাহেদুল ইসলামসহ আরো অনেকেই জানান, রাতের আঁধারে নিম্ন মানের সামগ্রী দিয়ে কালভাঠটির নির্মাণ কাজ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার এ,এইচ,এম ইদ্রীস আলী জানান, স্থানীয়রা নিজেদের মধ্যে অন্তদ্বন্দের জের ধরে ইউড্রেনটি ভেঙ্গে দিয়েছে। তবে ভেঙ্গে যাওয়া অংশ মেরামত করা হবে বলেও জানান তিনি।
সারপুকুর ইউনিয়ন পরিষদ সচিব আব্দুস সালাম সরকার জানান, কালভার্ট ভেঙ্গে গেলে তার করার কিছুই নেই। ঠিকাদাররা ভাঙ্গা অংশ মেরামত করে দিবে বলেও জানান তিনি।
প্রকল্প দু’টির তদারকি কর্মকর্তা আদিতমারী উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী জুলফিকার আলী জুয়েল বলেন, এ অর্থ বছরে যতগুলো কাজ হয়েছে তমধ্যে ওই দু’টি প্রকল্প মজবুত হয়েছে। তবে ভেঙ্গে যাওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, ভেঙ্গে যাওয়া অংশ খুব দ্রুত মেরামত করবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো।