ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের ইউএনও ফেসবুকে স্ট্যাট্যাস দেখে সমাধানের উদ্যোগ নিলেন !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কালীগঞ্জে কয়েকটি জনগুরুত্বপুর্ণ বিষয়ে নিয়ে স্ট্যাট্যাস দেখে তা সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছেন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: ছাদেকুর রহমান।
তিনি ঐসব স্থান নিজে সরেজমিন পরিদর্শণও করেছেন। তিনি সোমবার তার সরকারি ফেসবুক পেজে লিখেছেন গত ১৭ নভেম্বর ২০১৬ খ্রি. নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দৃষ্টি কামনা করে কালীগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে যানজট নিরসনের বিষয়ে ফেসবুকে কয়েকটি দাবি তুলে ধরা হয়।
সে প্রেক্ষিতে অদ্য ২১ নভেম্বর ২০১৬ খ্রি. উপজেলা নির্বাহী অফিসার, কালীগঞ্জ, ঝিনাইদহ জনাব মোঃ ছাদেকুর রহমান কালীগঞ্জ বাজারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে গাড়ী পার্কিং এবং রাস্তার উপর অবৈধভাবে রাখা মালামাল আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে অপসারণের জন্য সংশ্লিষ্টদেরকে নির্দেশনা প্রদান করেন।
গত ১৭ নভেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের প্রফাইলে সাংবাদিক শাহজাহান আলী বিপাশ ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দৃষ্টি কামনা যে দাবিগুলো করেন তার মধ্যে মেইন বাসষ্ট্যান্ড থেকে বৈশাখী তেলপাম্প (যশোর রোড) পর্যন্ত মহাসড়কের উপর ট্রাক রেখে যানজট সৃষ্টি করছে কিছু ড্রাইভার, বিশেষ করে বৈশাখি তেলপাম্প মোড়ে, এর কারনে প্রতিদন দুর্ঘটনা ঘটছে, ভ্রাম্যমান আদালত করে রাস্তা যানজটমুক্ত কর।
শুক্রবার ও সোমবার বাজারের দিন বাজারে যাতে ভারি যানবাহন যাতে ঢুকতে না পারে তার ব্যবস্থা করা। বাসটার্মিনাল থাকলেও মহাসড়কে বাস রেখে যাত্রী উঠানামানো করা হয়, একটু নজর দেওয়া। মেইন বাসষ্ট্যান্ড থেকে কাশিপুর রেলগেট, ও ম্যাক্সি মার্কেট থেকে বৈশাখি তেলপাম্প পর্যন্ত সড়কের পাশে গাছ রেখে সড়কে যানজট করা হচ্ছে, সে বিষয়ে।
ঝিনাইদহ কালিগঞ্জে এখন অনেক কৃষক/ কৃষানি জৈব পদ্ধতিতে চাষাবাদ করছে, তাদের উৎপাদিত বিষমুক্ত ফসল বিক্রির জন্য আলাদা জায়গা দেওয়া। উপজেলা পরিষদের মধ্যে একটি পাবলিক লাইব্রেরী স্থাপন করার দাবিও জানানো হয়।
ঝিনাইদহে এবার জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত কৃষক ইদ্রিস আলীর সাত লাখ টাকার গাছ প্রকাশ্যে কেটে দিয়েছে প্রতিপক্ষরা !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পদ্মাকর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার প্রাপ্ত কৃষক ইদ্রিস আলীর ফলজ ও বনজ গাছ কেটে দিয়েছে প্রতিপক্ষরা।এ ঘটনায় কৃষক ইদ্রিস আলী হাটগোপালপুর পুলিশ ক্যাম্পে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
কৃষক ইদ্রিস আলী বলেন, পুর্ব শত্রুতার জের ধরে লক্ষীপুর গ্রামের মৃত কামাল বিশ্বাসের ছেলে আহাদ আলী ও তার ভাই সিরাজ আলী মিশ্র ফল বাগানের গাছ প্রকাশ্যে কেটে দিয়েছে। এছাড়া বাগানের বেশকিছু গাছ নষ্ট করে দিয়েছে। বাড়ীর পাশের নার্সারির গাছ কেটে সাবাড় করে দিয়েছে। এতে আনুমানিক দেড় লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
তিনি বলেন, জমি নিয়ে বেশ কয়েক বছর যাবত আহাদ আলীর সাথে বিরোধ চলে আসছে। এ ঘটনায় আদালতে একটি মামলা চলছে। আদালতের রায় আমার পক্ষে থাকার পরও আহাদ আলী আমার জমির গাছ কেটে দিচ্ছে এবং গাছের বাকল তুলে নষ্ট করেছে।
ইদ্রিস আলী আরো বলেন, আহাদ আলী একজন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। তার অত্যাচারে অতিষ্ট লক্ষীপুর গ্রামবাসী। তিনি তার পিতার জমি জাল দলিল করে লিখে নেন। যেকারণে তার পিতা অকালে মৃত্যু বরণ করেন। এতেই তিনি থেমে থাকেনি। তার মাকে তার বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন।
এছাড়াও গ্রামের ডা: ফিরোজ খানের নিকট জমি বিক্রি করে তার জমি বুঝে দেন নি। দখল নিতে গেলে আহাদ আলী হত্যার হুমকি দিচ্ছে। শাহাদত মীরের বাড়ীর পথে গর্ত খুড়ে পথ বন্ধ করে দিয়েছে। পুলিশে অভিযোগ দেওয়ার পর আহাদ আলী ইদ্রিস আলীকে হুমকি দিচ্ছে। যে কারণে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে কৃষক ইদ্রিস আলী ও তার পরিবার।
এ ঘটনায় হাটগোপালপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই ইসমাইল হোসেন জানান, কৃষক ইদ্রিস আলীর কাছ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এর প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে সতত্যা পেয়েছি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।