সোমবার দুপুর ১২টায় ডিএসসিসির মেয়র সাঈদ খোকন এই কমিউনিটি সেন্টারের উদ্বোধন করেন। ডিএসসিসির নিজস্ব অর্থায়নে ৩০ কাঠা জায়গার ওপর প্রায় ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে তিনতলা এই সেন্টার তৈরি করা হয়। ডিএসসিসিতে সাঈদ খোকনের নামে এটিই প্রথম স্থাপনা।
নতুন এই কমিউনিটি সেন্টারে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ৩০০ আসনবিশিষ্ট দুটি মিলনায়তন, ব্যক্তিগত গাড়ি পার্কিং, পুরুষ ও নারীদের পৃথক ইনডোর গেমস, ব্যায়ামাগার, মাতৃসদন, লাইব্রেরি, কম্পিউটার ল্যাব, কাউন্সিলর কার্যালয়, সভাকক্ষ, বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন, জেনারেটরের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাঈদ খোকন বলেন, নগরবাসীদের নাগরিক স্বাচ্ছন্দ্য বাড়াতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে ডিএসসিসি। নগরীর প্রতিটি এলাকায় আধুনিক কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে বিদ্যমান কমিউনিটি সেন্টার মেরামত ও সংস্কার করার কাজ চলছে। তা বাস্তবায়িত হলে নগরবাসী ব্যাপকভাবে সেবা পাবেন।
গেন্ডারিয়ার স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে একটি ডায়াবেটিক ইউনিট স্থাপনের ঘোষণা দেন মেয়র সাঈদ খোকন। তিনি বলেন, পুরান ঢাকার ধূপখোলা মাঠে অত্যাধুনিক রাইডসহ একটি শিশুপার্ক নির্মাণ করা হবে। এতে নতুন ঢাকার শিশু-কিশোরেরা এই এলাকায় বিনোদনের জন্য আসবে। দুস্থ অসহায় শিশুদের জন্য এ শিশুপার্কে সপ্তাহে এক দিন বিনা মূল্যে বিভিন্ন রাইডে চড়ার সুযোগ দেওয়া হবে।
ডিএসসিসির মেয়র বলেন, ওই সেন্টারে পর্যায়ক্রমে ট্রেডমিলসহ ব্যায়ামাগার স্থাপন করা হবে। পর্যায়ক্রমে এলাকাবাসীকে ফ্রি এ সুবিধা দেওয়া হবে। আগামী জানুয়ারি থেকে গেন্ডারিয়া এলাকায় এলইডি বাতি বসানোর কাজ শুরু হবে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান, ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবু আহমেদ মন্নাফী, ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সারোয়ার হোসেন, ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবদুল কাদের, ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ নূর হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।