কেন্টাবুরিতে জন্ম নেওয়া এ কিউই অলরাউন্ডারের জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক ২০০৭ সালে। পেস বোলিং অলরাউন্ডার হলেও ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছেন একটু দেরি করেই। ৪৭ তম ওয়ানডেতে এসে প্রথম সেঞ্চুরি পেয়েছেন—২০১২ সালে অস্ট্রেলিয়া নারী দলের বিপক্ষে। ওই বছরটাই দুর্দান্ত কেটেছে শেটারওয়েটের। ৫১.৭৫ গড়ে রান করে হয়েছিলেন বর্ষসেরা কিউই নারী ক্রিকেটারও। ওই পারফরম্যান্সের পরই কিউই নারী দলের বড় আস্থা হয়ে ওঠেন তিনি। তবে টানা তিন ইনিংসে সেঞ্চুরি করে রেকর্ড গড়বেন, সেটি বোধ হয় নিজেও ভাবেননি ৩০ বছর বয়সী এ অলরাউন্ডার।
১৯৮৫ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টানা দুই ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার জিল কেনার। তখন ওটাই ছিল বেশ বড় ব্যাপার। এরপর শেটারওয়েটের আগে আরও চারজন ব্যাটার টানা দুই ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করেছেন—নিউজিল্যান্ডের ডেবি হকলি, অস্ট্রেলিয়ার ক্যারেন রোল্টন ও মেগ ল্যানিং, ইংল্যান্ডর টামি বিউমন্ট। কিন্তু কেউই রেকর্ডটা ভাঙতে পারেননি। অবশেষে কেনারের রেকর্ডের ৩১ বছর পর শেটারওয়েট ভেঙে দিলেন দুই সেঞ্চুরির দেয়াল, নিজেকে নিয়ে গেলেন নতুন উচ্চতায়।
মেয়েদের ওয়ানডেতে দুই সেঞ্চুরি যেমন একটা অদৃশ্য বাধা হয়ে ছিল এত দিন, ছেলেদের ওয়ানডেতে সেই বাধাটা ছিল টানা তিন সেঞ্চুরির। ১৯৮২ সালে কিংবদন্তি পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান জহির আব্বাস ভারতের বিপক্ষে টানা তিন সেঞ্চুরি করে নিজেকে নিয়ে গিয়েছিলেন অন্য উচ্চতায়। তাঁর পাশে অন্য কাউকে দেখতে অপেক্ষা করতে হয়েছে আরও ১১ বছর।
১৯৯৩ সালে আরেক পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান সাঈদ আনোয়ার টানা তিন সেঞ্চুরি করে ছুঁলেন আব্বাসকে। পরে এ দুজনের পাশে এসে বসেছেন হার্শেল গিবস, এবি ডি ভিলিয়ার্স, কুইন্টন ডি কক ও রস টেলর। কিন্তু কেউই সংখ্যাটাকে তিন থেকে চারে নিয়ে যেতে পারেননি। গত বছর বিশ্বকাপে টানা চার সেঞ্চুরি করে সেই দেয়াল ভাঙলেন শ্রীলঙ্কার কুমার সাঙ্গাকারা। ছাড়িয়ে গেলেন সবাইকে।
এই কিছুদিন আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে টানা তিন সেঞ্চুরি করেছেন পাকিস্তানের বাবর আজমও। তবে সাঙ্গাকারা আপাতত আছেন ধরাছোঁয়ার বাইরেই।