ঢাকা; নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দেয়া ফর্মুলাকে অন্ত:স্বারশূণ্য বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এ ধরণের ফর্মুলা জাতির সঙ্গে তামাশা ছাড়া আর কিছু নয়। বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়ায় আজ ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, আইন ও নিয়ম অনুযায়ি নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। আর এর দায়িত্ব ও ক্ষমতা প্রেসিডেন্টের। বিএনপি সম্প্রতি জেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করেছে। এখন আবার নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আসলে তারা দেশে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে উগ্রবাদিদের উসকে দিয়ে বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে। এখন তারা যে কোন উপায়ে ক্ষমতায় এসে লুটপাটের রাজনীতি করতে চায়। সব দলের সঙ্গে সংলাপ করে নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এটা সম্পুর্ন প্রেসিডেন্টের বিষয়। তিনি কোন দলকে ডাকবেন, কাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন এসব তার বিষয়। তিনি বলেন, যারা নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন তারা সংবিধানকে অবজ্ঞা করে ধৃষ্টতা দেখাচ্ছেন। এর আগে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে সাতটি প্রস্তাব দেয় বিএনপি। রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন। বিএনপির প্রস্তাবিত ৭টি প্রস্তÍাব সংক্ষেপে তুলে ধরা হল।
এক. সকল রাজনৈতিক ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।
দুই. সকল নিবন্ধিত রাজনৈদিক দল এবং স্বাধীনতার পর সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছে এমন দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির বৈঠক হতে হবে। বৈঠকে ২০ দলীয় জোট ও মহাজোটের একজন করে মূল প্রতিনিধি ও সহায়তা দিতে আরও দুই প্রতিনিধি উপস্থিত থাকতে পারবে।
তিন. বাছাই কমিটি করতে হবে। এই কমিটিতে একজন নারী সদস্য রাখতে হবে। একইসঙ্গে বাছাই কমিটির গঠন, কাঠামো, সদস্য কারা হবেন, এ নিয়েও প্রস্তাবে মত দেওয়া হয়েছে।
চার. নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল, স্বাধীনতার পর সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছে এমন রাজনৈতিক দলগুলো রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠকে বাছাই কমিটির সদস্যদের প্রতি জনের বিপরীতে দুজনের নাম ও পরিচয় সুস্পষ্ঠভাবে লিখিত প্রস্তাব দিতে হবে।
পাঁচ. প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনারদের যোগ্যতা সম্পর্কে বলা হয়েছে।
ছয় এবং সাত নম্বরে খালেদা জিয়া বাছাই কমিটির গঠন প্রক্রিয়া, ঘোষণার বিষয়ে বিস্তারিত ও সাংবিধানিক পদ্ধতি মেনে অভিমত পেশ করেন।
এই প্রস্তাবগুলোর বাইরে খালেদা জিয়া ইসিকে অধিকতর শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আরপিও সংশোধনের দাবি জানান। তিনি পরিষ্কারভাবে পাঁচটি ক্ষেত্রে সংশোধনীর কথা বলেন। নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করতে বিএনপি প্রধান আরও ১৩টি প্রস্তাব দেন।
এক. সকল রাজনৈতিক ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।
দুই. সকল নিবন্ধিত রাজনৈদিক দল এবং স্বাধীনতার পর সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছে এমন দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির বৈঠক হতে হবে। বৈঠকে ২০ দলীয় জোট ও মহাজোটের একজন করে মূল প্রতিনিধি ও সহায়তা দিতে আরও দুই প্রতিনিধি উপস্থিত থাকতে পারবে।
তিন. বাছাই কমিটি করতে হবে। এই কমিটিতে একজন নারী সদস্য রাখতে হবে। একইসঙ্গে বাছাই কমিটির গঠন, কাঠামো, সদস্য কারা হবেন, এ নিয়েও প্রস্তাবে মত দেওয়া হয়েছে।
চার. নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল, স্বাধীনতার পর সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছে এমন রাজনৈতিক দলগুলো রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠকে বাছাই কমিটির সদস্যদের প্রতি জনের বিপরীতে দুজনের নাম ও পরিচয় সুস্পষ্ঠভাবে লিখিত প্রস্তাব দিতে হবে।
পাঁচ. প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনারদের যোগ্যতা সম্পর্কে বলা হয়েছে।
ছয় এবং সাত নম্বরে খালেদা জিয়া বাছাই কমিটির গঠন প্রক্রিয়া, ঘোষণার বিষয়ে বিস্তারিত ও সাংবিধানিক পদ্ধতি মেনে অভিমত পেশ করেন।
এই প্রস্তাবগুলোর বাইরে খালেদা জিয়া ইসিকে অধিকতর শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আরপিও সংশোধনের দাবি জানান। তিনি পরিষ্কারভাবে পাঁচটি ক্ষেত্রে সংশোধনীর কথা বলেন। নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করতে বিএনপি প্রধান আরও ১৩টি প্রস্তাব দেন।