এস. এম. মনিরুজ্জামান মিলন, রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার ধীরগঞ্জ-যাদুরানী পাঁকা সড়কে আমজাদ পাড়া নামক স্থানে বক্স-কালভার্টাট ভেঙ্গে যাওয়ায় যান চলাচলে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ভেঙ্গে যাওয়া কালভার্টটি দিয়ে রাতে মানুষ চলাচলের সময় কয়েকটি দূর্ঘনাও ঘটেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। দ্রুত সংস্কার না করার ফলে বক্স-কালভার্টাট যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ধীরগঞ্জ-যাদুরানী পাঁকা সড়কে আমজাদ পাড়া নামক স্থানে বক্স-কালভার্টাটর দক্ষিণ অংশটি ছাদ ভেঙ্গে গিয়ে বিশাল গর্ত তৈরি হয়েছে। দুর থেকে গর্তটি বুঝা না যাওয়ার ফলে রাস্তায় চলাচলের সময় অনেক অজানা মানুষ ও যানবহান প্রতিদিনই দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। দূর্ঘটনা এড়াতে স্থানীয় লোকজন গর্তের মাঝে বাশেঁর সাথে লাল কাপড় বেধেঁ দিয়ে বিপদ সংকেত স্থান বলে চিহ্নিত করে রেখেছেন।
উপজেলার বকুয়া আমজাদ পাড়ার বেলালসহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, গত ২০ থেকে ২২ দিন পূর্বে ধীরগঞ্জ থেকে যাদুরানী বাজারে একটি ১০ চাক্কার মালবাহী ট্রাক যাওয়ার সময় বক্স-কালভার্টাট ফেটে গিয়ে দেবে যায়। পরবর্তী সময়ে ফেটে যাওয়া অংশটি ভেঙ্গে যায়। বক্স-কালভার্টাট ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে এ সড়ক দিয়ে আর কোন প্রকার যান-বহান চলাচল করতে পারছে না। ২ কিলোমিটার পথ ঘুরে বিকল্প পথ দিয়ে যা-বহান চলাচল করছে।
এই সড়ক যাদুরানী ও ধীরগঞ্জ হাট যাতায়াতের একমাত্র সহজ পাঁকা রাস্তা। এই সড়ক দিয়ে একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি দাখিল মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী যাতায়াত করেন। দূর্ঘটনার আশংকা নিয়ে প্রতিদিন ছাত্র-ছাত্রীদের এই বক্স-কালভার্ট ভাঙ্গা দিয়ে সড়কটি যাতায়াত করতে হয়। বক্স-কালভার্টটি ভেঙ্গে যাওয়ার বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান আবুল কাসেম বর্ষাকে অবহিত করা হলে তিনি বলেন, খুব দ্রুত ভেঙ্গে যাওয়া বক্স-কালভার্টটি সংস্কার করা হবে।
এলজিইডি’র উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুস ছামাদ বলেন, ২০০৩ সালে এডিবি’র অর্থঅয়নে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে বক্স-কালভার্টাট তৈরি করা হয়। এর ধারণ ক্ষমতা সর্বোচ্চ ৫ থেকে ৭ মেঃটন। ধারণ ক্ষমতার বেশি ওজনের বা ২০-২৫ মেঃ টনের মালের গাড়ি বক্স-কালভার্টাট দিয়ে পাড়াপার হওয়ার সময় দেবে গিয়ে ভেঙ্গে যায়। তিনি আরো বলেন বক্স-কালভার্টাট দ্রুত সংস্কার করার জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যান আবুল কাসেম বর্ষাকে প্রকল্প দিয়ে বলা হয়েছে এবং খুব শীঘ্রই বক্স-কালভার্টাট সংস্কার করা হবে।