তাঁকে বাদ দিয়ে তিনজনের নাম প্রস্তাবের বিষয়ে সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, ‘আসলে একটি অংশ এ কাজ করেছে। সেটি আমরা সবাই জানি, নারায়ণগঞ্জবাসীও জানে। মহানগর আওয়ামী লীগ তড়িঘড়ি করে একটি সভা ডেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একজন প্রভাবশালী নেতার নির্দেশে কাজটি হয়েছে। শহরের মধ্যে বহু আগে থেকেই নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ দুটি ভাগে বিভক্ত আছে। সে ক্ষেত্রে তারা কারও নাম কেন্দ্রে পাঠাতেই পারে। কেন আমার নাম পাঠায়নি, তারাই ভালো বলতে পারবে। এ ব্যাপারে আমার বলার কিছু নেই।’
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, ‘দল যে সিদ্ধান্ত দেবে, আমি সেই সিদ্ধান্তেই যাব। আমি দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করব না।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার দৃঢ়বিশ্বাস, বিগত সময়ে আমার কর্মকাণ্ডের কারণে দল আমাকে মনোনয়ন দেবে। কারণ, আমি ১৩ বছর ধরে এখানে কাজ করছি। নারায়ণগঞ্জ পৌরসভাতে ছিলাম আট বছর এবং নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে ছিলাম পাঁচ বছর। অত্যন্ত প্রতিকূলতার মাঝে আমি কাজ করেছি।’ ২০০৩ ও ২০১১ সালের নির্বাচনে নিজের লড়াইয়ের কথা উল্লেখ করেন তিনি।
দল মনোনয়ন দেবে—এমন আশার কারণ ব্যাখ্যা করে মেয়র আইভী বলেন, ‘আমি আমার কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করেছি। নারায়ণগঞ্জবাসীকে আমি যথেষ্ট পরিমাণ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। দলের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছি। আমার এমন কোনো নেতিবাচক দিক নেই, যা দলকে পিছিয়ে দিয়েছে।’ তিনি ভালো কাজ করেছেন আর সেটাই তাঁর প্লাস পয়েন্ট বলে তিনি মনে করেন।
আগামী ২২ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।