হাফিজুল ইসলাম লস্কর, সিলে: ২৩ নভেম্বর সিলেটে আসছেন বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ হাসিনা হবে । ওইদিন সিলেটের ঐতিহাসিক আলীয়া মাদ্রাসা ময়দানে জনসভার আয়োজন করেছে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগ।
সিলেট আওয়ামী পরিবারের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হলেও তাঁদের সকলেরই আস্থা ও ভরসার শেষ ঠিকানা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। এজন্যই শেখ হাসিনার জনসভাকে সফল ও স্বার্থক করতে ‘গ্রুপিং’ ভুলে এক হয়ে কাজ শুরু করেছেন আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষকলীগ ও মহিলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দরা। সকলের লক্ষ্য একটি, ‘শেখ হাসিনার জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করা’।
ইতোমধ্যেই সিলেট নগরী ও প্রতিটি জেলা-উপজেলায় প্রচার-প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা। মুলদল এবং অঙ্গসংগঠন গুলোকে সংগঠিত করতে করা হচ্ছে কর্মীসভা। অঙ্গসংঠনের ইউনিটগুলোও এক হয়ে কাজ করার জন্য করছে কর্মীসভা ও প্রচার মিছিল।
সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফসার আজিজ বলেন- স্বেচ্ছাসেবক লীগ সবসময়ই ঐক্যবদ্ধ। আমরা জেলা ও মহানগর শাখা এক হয়ে শেখ হাসিনার জনসভা সফল করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করব। এলক্ষ্যে আগামী ২০ তারিখ প্রচার মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। এতে স্বেচ্ছাসেবকলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত থাকবেন।
সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম তুষার বলেন- ছাত্রলীগে প্রতিযোগিতামুলক গ্রুপিং থাকলেও সাংঘর্ষিক কোন গ্রুপিং নেই। আমরা সিলেটের আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের দিকনির্দেশনায় সবসময়ই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করি। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা সফলের লক্ষ্য ইতোমধ্যে আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। মহানগরের আওতাধীন ইউনিট গুলোকে ঐক্যবদ্ধ করতে কর্মীসভা করা হবে। সিলেট উপশহর ছাত্রলীগ নেতা নাবিল বলেন আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিলেট আগমন সফল ও সার্থক করে তুলতে একযোগে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এড. ছালেহ আহমদ সেলিমের নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা ২৩ তারিখের জনসভাকে সফল ও সার্থক করে তুলতে এবং জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিনত করতে উপশহরের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মতবিনিময় ও ঘরবৈঠক করে যাচ্ছি।