বাড্ডা থানার পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, রুবেল উত্তর বাড্ডার একটি বাসায় অবস্থান করছিলেন। সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। এ সময় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় গত রোববার বিকেলে ঢাকার সিএমএম আদালত থেকে পালিয়ে যান রুবেল (২৬)।
গত শুক্রবার রুবেলকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১)। পরদিন তাঁকে বাড্ডা থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
রোববার বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইমরানুল হাসানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল রুবেলকে আদালতে নিয়ে যায়। সেখান থেকেই তিনি পালান।
ঘটনার পর ডিএমপির জনসংযোগ বিভাগ জানায়, ধর্ষণের কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছিলেন রুবেল। তাই ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার জন্য তাঁকে আদালতে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি পালিয়ে যান। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার জন্য এসআই ইমরান ও কনস্টেবল দীপককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
র্যাবের ভাষ্য অনুযায়ী, গত ২৫ অক্টোবর এক গারো তরুণী উত্তর বাড্ডার একটি মেসে তাঁর হবু স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে যান। তখন এলাকার সন্ত্রাসী রুবেল ও তাঁর সহযোগী ওই গারো তরুণীকে পাশের একটি বাড়িতে ধরে নিয়ে ধর্ষণ করেন।
র্যাব জানায়, রুবেলের বিরুদ্ধে আটটি মামলা রয়েছে বলে তারা তথ্য পেয়েছে। এর মধ্যে ধর্ষণের পুরোনো মামলাও রয়েছে। চাঁদাবাজি ও মারামারির অভিযোগে বাকি মামলাগুলো হয়েছে।