ক্রেমলিন জানায়, পুতিন ও ট্রাম্পের ফোনালাপে দুই নেতা একমত হন যে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার বর্তমান সম্পর্ক একেবারেই অসন্তোষজনক। এই সম্পর্ক উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করতেও হবে। তাঁদের আলোচনায় সিরিয়া ইস্যুও স্থান পেয়েছে। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতেও ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগ নেওয়ার ব্যাপারে একমত হন এই দুই নেতা। ফোনে ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর সাফল্য কামনা করেন পুতিন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেনশিয়াল ট্রানজিশনাল টিমের বিবৃতিতে বলা হয়, ট্রাম্প বলেছেন তিনি রাশিয়ার সরকার ও দেশটির জনগণের সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ার জন্য সামনের দিকে তাকিয়ে আছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সমালোচনা করে নেতা হিসেবে তাঁকে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের চেয়ে অনেক পিছিয়ে রেখেছিলেন। ট্রাম্প বলেছিলেন, নেতা হিসেবে ওবামার চেয়ে অনেক অনেকগুণ এগিয়ে পুতিন।
ওই সময় পুতিনও ট্রাম্পকে অসাধারণ ব্যক্তি ও সন্দেহাতীত মেধাবী মানুষ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। মার্কিন নির্বাচনের ফল প্রকাশ হওয়ার পরপর রাশিয়ার রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত টেলিভিশনগুলোতে ট্রাম্পের প্রশংসা করে বলা হয়, জনগণের নেতার জয় হয়েছে।
কয়েক বছর ধরে বৈশ্বিক বিভিন্ন ইস্যুতে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে ওবামার যুক্তরাষ্ট্র আর পুতিনের রাশিয়া। যার সর্বশেষ প্রকাশ ঘটেছে সিরিয়ায়। মস্কো সিরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাশার আল–আসাদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। আর ওয়াশিংটন সমর্থন দিচ্ছে বাশারবিদ্রোহীদের। তবে মার্কিন নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়ের পর ওয়াশিংটন-মস্কো সম্পর্ক উন্নয়নের আভাস মিলছে।