ভূমিকম্পের পর নিউজিল্যান্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলে আঘাত হানে সুনামি। প্রাথমিকভাবে আঘাত হানা সুনামিতে সামুদ্রিক ঢেউয়ের উচ্চতা ছিল ৮ ফুট ২ ইঞ্চি। ক্রাইস্টচার্চ শহরের উত্তরে কাইকৌরা এলাকায় এটা আঘাত হানে। ওয়েলিংটনসহ বিভিন্ন এলাকায় ছোট আকারের ঢেউ আঘাত হেনেছে। সিভিল ডিফেন্স মন্ত্রণালয় আশঙ্কা করছে, ১৬ ফুটের বেশি উচ্চতার সামুদ্রিক ঢেউ আঘাত হানতে পারে। সাউথ আইল্যান্ডসহ কয়েকটি এলাকায় এই সুনামি আঘাত হানতে পারে। ইতিমধ্যে সুনামি সতর্কতা জারি করে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বলা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, ভূমিকম্পের কারণে অনেক এলাকায় বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা ও ফোন নেটওয়ার্ক বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল বলে প্রায় সারা দেশেই ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। কেন্দ্রস্থলের আশপাশের এলাকায় বেশ কিছু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ভূমিকম্পের পর টুইট করেছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জন কি। তিনি বলেছেন, ‘আশা করছি, সবাই নিরাপদে আছেন।’ দেশটির ন্যাশনাল সিভিল ডিফেন্স জানায়, ভূমিকম্পের পর প্রথম আসা সামুদ্রিক ঢেউ তেমন বড় ছিল না। কিন্তু সুনামি মোকাবিলার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
দ্য ইউএস প্যাসিফিক সুনামি ওয়ার্নিং সেন্টার জানিয়েছিল, এই ভূমিকম্পের কারণে সুনামির আশঙ্কা নেই।
নিউজিল্যান্ডে দ্য হেরাল্ড পত্রিকার বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, এই ভূমিকম্প রাজধানী ওয়েলিংটনে অনুভূত হয়। সেখানে বিপৎ–সংকেত হিসেবে সাইরেন বেজে ওঠে। ঘরবাড়ি ও ভবন কেঁপে ওঠে। আতঙ্কে মানুষজন রাস্তায় নেমে আসে। অনেককেই কান্নাকাটি করতে দেখা যায়।
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহর থেকে ৯৫ কিলোমিটার দূরে সাউথ আইল্যান্ড। ক্রাইস্টচার্চে ২০১১ সালে ভূমিকম্পে ১৮৫ জনের মৃত্যু হয়। নিউজিল্যান্ড ভয়াবহ রিং অব ফায়ারে (ভূমিকম্প ও অগ্ন্যুৎপাতের আশঙ্কায় থাকা অঞ্চল) অবস্থান করছে।
নিউজিল্যান্ডের নর্থ আইল্যান্ডে গত সেপ্টেম্বরে ৭ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পের পর সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। এতে বেশ কিছু ক্ষয়ক্ষতি হলেও প্রাণহানি ঘটেনি।