এম এ কাহার বকুল, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ, লালমনিরহাট জেলার সদর উপজেলার পূর্ব কালমাটি এলাকায় লাইজু বেগম (৩০) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
নিহত গৃহবধু লাইজু বেগম সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের পূর্ব কালমাটি নদীরপাড় গ্রামের রুহুল আমিনের স্ত্রী এবং একই এলাকার গুয়াতিপাড়ার আব্দুস সামাদের মেয়ে।
বিয়ের পর তাদের সংসারে নাঈম (৫) নামে এক ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন অজুহাতে স্বামী রুহুল আমীন লাইজুকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করত। এ নিয়ে গত বছর স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে বিচার প্রার্থী হন লাইজুর বাবা আব্দুস সামাদ। নির্যাতন না করার মুসলেকা দিলে বিচারকরা পুনরায় লাইজুকে স্বামীর বাড়ি পাঠান। এরপরও থেমে থাকে নি লাইজুর নির্যাতন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ৮ বছর আগে লাইজুর সাথে বিয়ে হয় নদীরপাড় গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে রুহুল আমীনের (৩৫) সাথে।
গত শনিবার (১২নভেম্বর) রাতেও স্বামী রুহুল আমীন লাইজুকে বেধড়ক মারপিট করে। এবং এক পর্যায়ে গলায় রশি পেঁচিয়ে লাইজুকে হত্যা করে বাড়ির গবাদিপশু-পাখিসহ জিনিসপত্র নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় লম্পট স্বামী রুহুল আমীন ও তার পরিবার।
আজ রোববার (১৩নভেম্বর) সকালে তাদের কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীরা বাড়িতে ঢুকে লাইজুর মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ আজ সকালে নিহত লাইজুর মরদেহ উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নিহত লাইজুর বাবা আব্দুস সামাদ জানান, বিয়ের পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই লাইজুকে বিভিন্ন ভাবে শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন চালাত লাইজুর স্বামী রুহুল আমীন ও তার পরিবার। তিনি মেয়ের হত্যাকারীদের দৃষ্ঠান্তমুলক শাস্তি দাবি করেন।
মরদেহ উদ্ধার করে প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী লালমনিরহাট সদর থানার উপ পরিদর্শ (এসআই) হৃষিকেশ চন্দ্র জানান, লাইজুর শরীরে আঘাতের অসংখ্য চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হতে পারে।
লালমনিরহাট সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘাতকরা সপরিবারে পালিয়েছে। তাদের আটকের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।