ঢাকা; ধর্মীয় সহিংসতা রোধে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। একই সঙ্গে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের অবৈধ দখল উচ্ছেদে কোনো প্রতিবন্ধকতা আসলে বিচার বিভাগ পাশে থাকার ঘোষণা দেন তিনি। আজ শনিবার রাজধানীর নারিন্দা রোডের শ্রী শ্রী মাধ্ব গৌড়ীয় মঠের ‘ভক্তি বিলাস তীর্থ ভবনের’ চতুর্থ ও পঞ্চম তলার নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন। সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেন, সাঁওতালদের ওপর যে হামলা চালানো হয়েছে, ঘর বাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে তারা অত্যন্ত গরীব সম্প্রদায়ের লোক। আমি আশা রাখবো যারা প্রশাসনে আছেন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীতে আছেন তারা যদি একটু সচেতন হন, সজাগ হন তাহলে এই ঘটনার আর পুনরাবৃত্তি ঘটবে না। এসময় তিনি যে কোন ধর্মীয় উপাসনালয়ে যেন আঘাত না আসে সে দিকে খেয়াল রাখার জন্য দুই মেয়রের প্রতি আহবান জানান। প্রধান বিচারপতি বলেন, যারা অবৈধ দখলে আছে, সিটি করপোরেশনের জমি দখল করে রেখেছে সেগুলোসহ রাস্তা ঘাট উচ্ছেদে যদি কোনো প্রতিবন্ধকতা আসে সে ক্ষেত্রে বিচার বিভাগ হাত প্রসারিত করবে। এস কে সিনহা বলেন, বাংলাদেশ বেশ কিছু দিনধরে সুন্দরভাবে চলছে। এখানে গণতন্ত্র আছে, আইনের শাসন আছে, দেশ কিন্তু উন্নতির দিকে যাচ্ছে। এখানে কিছু লোক বেশ কিছু দিন ধরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, যারা ক্ষমতায় আছেন আমি তাদেরকেও বলছি, যারা বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী আছে আমরা যাতে তাদের ধর্ম পালনে বাধা না দিই। তাদের ধর্মীয় উপাসনালয় বানিয়ে দিই। এখানে কেউ কারো প্রতি আঘাত না করি, কারো মন্দির মসজিদে বাধা না দিই। তাদের সহাবস্থানে বাধা সৃষ্টি করবো না। যারা এসব করছে তারা ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য এগুলো করছে।
মাধ্ব গৌড়ীয় মঠের সভাপতি গিরিধারী লাল মোদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ। এটা হিন্দু, বৌদ্ধ-খ্রিস্টানসহ সব ধর্মের মানুষের দেশ। তারা যাতে এ দেশে শান্তিতে বসবাস করতে পারে আমরা সে বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে সর্বোচ্ছ চেষ্টা করছি। তাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে দেবো না।