রবিউল ইসলাম, দিনাজপুর প্রতিনিধি ॥ জাতীয় সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল বলেছেন, সাধারণত সরকারী চাকুরীজীবীরা সরকারের বিরুদ্ধে যায় না। কিন্তু বাংলাদেশের একমাত্র পেশাজীবি সংগঠন মুক্তিযুদ্ধের সময় সাংগঠনিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। দেশ স্বাধীনতা লাভ করবে কিনা তানা ভেবে শুধুমাত্র সার্বভৌমত্ত্ব বাংলাদেশের লক্ষ্যে আইডিইবি সাংগঠনিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এই সংগঠন রাষ্ট্রের জন্য সম্মিলিত অবদান রেখেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ইঞ্জিনিয়ারদের সাহস নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোও করে যাচ্ছেন। এ জন্য এই সংগঠনের গুরুত্ব অপরিসীম। তিনি বলেন, প্রযুক্তি নির্ভর দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
১২ নভেম্বর শনিবার সকালে শহরের বালুবাড়ীস্থ (শহীদ মিনার মোড়) নিজস্ব অফিস কার্যালয় হতে আইডিইবি’র ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও গণপ্রকৌশল দিবস-২০১৬ উপলক্ষে র্যালী পূর্ব এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। সংগঠনের সভাপতি মোঃ আকরাম আলী মিয়ার সভাপতিত্বে অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল আউয়াল। র্যালীটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্তম্ভে গিয়ে শেষ হয়। র্যালীতে আইসিটি ক্লাবের সভাপতি মোঃ শহীদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মইনুল হোসেন মামুন, মোঃ আব্দুল মমিন, মোঃ গুলশান আলী, শ্রী জিএম ভট্টাচার্য্য, লাইসুর রহমান, মোঃ মাসুদ রানা, দিনাজপুর পলিটেকনিক (বাকাছাপ) সভাপতি ফাইয়াস, সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন, দিনাজপুরের বিভিন্ন সরকারী দপ্তর/প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সদস্য প্রকৌশলীবৃন্দ, এসআরএ ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি, এ্যাপটাচ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, দিনাজপুর ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি, আলফাহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, উত্তোরণ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, ইকোসার্ভ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটসহ অসংখ্য মানুষ অংশগ্রহণ করে।